ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

গাজীপুরে অভিভাবককে মারধর, ভয়ে স্কুলে যাচ্ছে না দুই সন্তান

জেলা প্রতিনিধি | গাজীপুর | প্রকাশিত: ০৮:২৯ পিএম, ২১ জুলাই ২০১৯

গাজীপুরে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির সামনে এক অভিভাবক এবং বিদ্যালয়ের ক্যান্টিনের দুই কর্মচারীকে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারধরের ফলে অভিভাবকদের হাত ভেঙে গেছে।

গত মঙ্গলবার গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ছয় দিন ধরে ওই ব্যবসায়ী ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার নাম আব্দুর রাজ্জাক (৫৫)। তিনি ওই বিদ্যালয়ের ক্যান্টিনের মালিক।

আহত আব্দুর রাজ্জাক জানান, তার দুটি সন্তান এ স্কুলে লেখাপড়া করে। তিনি আগে চান্দনা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তিন বছর মেয়াদে ২০ লাখ টাকা জামানত দিয়ে মাসিক ২৫ হাজার টাকায় ভাড়ায় স্কুলের ক্যান্টিনটি ভাড়া নেন। ভাড়ার চুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাকি আছে। কিন্তু তাকে কোনো কিছু না জানিয়েই ১৬ জুলাই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ডেকে নেয়া হয়। সেখানে পূর্ব থেকেই তার দোকানের কর্মচারী জিয়ান (১০) ও ম্যানেজার রজব আলীকে নিয়ে আটকিয়ে রেখে মারধর করা হয়। ওইদিন রাত এগারটার দিকে দুই কর্মচারীকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এদিকে সভাপতির সামনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তিনি বিদ্যালয়ের সভাপতি হালিম সরকারকে গালমন্দ করেছেন এবং তার দোকানের কর্মচারী জিয়ান গালিগালাজ করার বিষয়টি সাক্ষ্য দিয়েছে। এক পর্যায়ে সভাপতির সামনে ৫-৭ জন লোক প্রধান শিক্ষকের কক্ষের দরজা বন্ধ করে তাকে নির্মমভাবে মারধর করে।

এসময় বিদ্যালয়ের অফিস সহকারীসহ কয়েকজন শিক্ষকও উপস্থিত ছিলেন। পরে পলাশ নামে এক ব্যবসায়ী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে পরে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানেই এক্সরে করে দেখা গেছে মারধরের ফলে তার বাম হাত ভেঙে গেছে, বুকের একটি পাজর ও কোমরের হাড় ফেটে গেছে। তিনি ৬ দিন ধরে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি জানান সুস্থ হলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক আরও জানান, ওই স্কুলের এক মেয়ে ১০ম শ্রেণিতে এবং ছেলে কলেজ শাখায় একাদশ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। এ ঘটনার পর ভয়ে তার সন্তানেরা বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ক্যান্টিনটি জোরপূর্বক বন্ধ করে দিয়ে চাবি নিয়ে গেছে সভাপতির লোকজন। দোকানে নগদ ৩২ হাজার টাকা ও মালামাল ছিল। সেগুলোর কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হালিম সরকার জানান, বিদ্যালয়ে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবহিত নন। ক্যান্টিনের ১১ মাসের ভাড়া বকেয়া রয়েছে। তাকে ডেকে ভাড়া পরিশোধের কথা বলা হয়েছিল।

আমিনুল ইসলাম/এমএএস/পিআর

আরও পড়ুন