সিলেটে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার মামলা
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন সিলেট মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রিমাদ আহমদ রুবেল।
রোববার বেলা ১১টার দিকে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে রিমাদ আহমদ রুবেল মামলার আবেদনটি করেন।
বাদীর আইনজীবী মুহাম্মদ তাজ উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, মামলা গ্রহণ নিয়ে শুনানিকালে আদালত বলেন এ ধরনের মামলা করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে মামলাটি গ্রহণ করে আদালত অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেবেন। সেক্ষেত্রে বাদীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে আসতে হবে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার চরবানিরী মাটিভাঙা গ্রামের মলয় সাহার স্ত্রী প্রিয়া সাহা ওরফে প্রিয়া বালা বিশ্বাস (৫৪)
বর্তমানে ঢাকার ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার এএনজে অ্যাম্বোসিয়া, ফ্লাট নং- বি/২, রোড নং- ৪/এ ৪৩ নম্বর বাসায় বসবাস করে আসছেন। বিবাদী একজন দেশবিরোধী, লোভী প্রকৃতির মহিলা, যিনি বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন।
বাদী শনিবার স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদপত্র ও অনলাইন গণমাধ্যম মারফত জানতে পারেন যে, বিবাদী বিগত ১৭ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিস্থ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। উক্ত সাক্ষাৎকারে প্রিয়া সাহা নিজেকে বাংলাদেশের নাগরিক পরিচয় প্রদানপূর্বক ইংরেজিতে বক্তব্য রাখেন, যা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে প্রিয়া সাহার উক্ত বক্তব্যের বাংলা ভাবানুবাদ করলে যা বুঝা যায়, তা হলো ‘স্যার আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। সেখানে ৩৭ মিলিয়ন (তিন কোটি ৭০ লাখ) হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান গুম বা বিলীন হয়ে গেছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। সেখানে এখনও ১৮ মিলিয়ন (এক কোটি ৮০ লাখ) সংখ্যালঘু মানুষ রয়েছে। আমার অনুরোধ-দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশ ছাড়তে চাই না। শুধু থাকার জন্য সাহায্য করুন।’
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, প্রিয়া সাহার উক্ত মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট বক্তব্যে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে, যা সুস্পষ্টরূপে রাষ্ট্রদ্রোহ এবং বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১২৪ (ক) ধারার বিধান মতে দণ্ডনীয় অপরাধ।
ছামির মাহমুদ/এফএ/এমএস