ঢাবিতে অধিভুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ
দেশের প্রচলিত স্বাস্থ্য আইন অনুযায়ী সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজকে (গমেক) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্তের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২০ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সাভার গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশ নেন এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।
কর্মসূচির এক পর্যায়ে বেলা ২টার দিকে কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করে বলেন, তাদের ১০ দফা দাবি ট্রাস্টি বোর্ডকে জানানো হয়েছে। ট্রাস্টি বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাবিতে অধিভুক্তের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে অধ্যক্ষের এই বক্তব্যে পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারেননি শিক্ষার্থীরা। দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জয়দেব বসাক জানান, তাদের আন্দোলন খুবই শান্তিপূর্ণ এবং অহিংস। হাসপাতালে কোনো রোগীর চিকিৎসা সেবা যেন ব্যাহত না হয় সেদিকে তাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।
এছাড়া এমবিবিএস ও বিডিএসের সব ক্লাস-পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গত ১০ জুলাই ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনকে ১০ দফা দাবি জানিয়েছিল শিক্ষার্থীরা।
দাবিগুলো হচ্ছে-
১. দেশের প্রচলিত আইন মেনে গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত করতে হবে।
২. মেডিকেল কলেজের জন্য আলাদা ভবনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. বিএমডিসি ও সমাজকল্যাণ অধিদফতরের সব নিয়ম মেনে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৪. ঢাবিতে অধিভুক্তির কাজ কোন পর্যায়ে আছে তার তথ্য শিক্ষার্থীদের অবগত করতে হবে।
৫. শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আবাসিক হলের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. অভিজ্ঞ ও যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক দিয়ে পাঠদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়া কাউকে ইন্টার্ণ করার সুযোগ দেয়া যাবে না।
৮. যোগ্যতা সম্পন্ন ডাক্তার সৃষ্টির লক্ষ্যে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রাংশ ব্যবহারে দক্ষ করে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে।
৯. মেডিকেল কলেজের জন্য আলাদা লোগোর ব্যবস্থা করতে হবে।
১০. মেডিকেল কলেজের ওয়েবসাইট আরও উন্নত করতে এবং নিয়মিত হালনাগাদের ব্যবস্থা করতে হবে।
তবে, এ বিক্ষোভ কর্মসূচি ও মানববন্ধনের কারণে হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রমে কোনো প্রভাব ফেলেনি। রোগীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে হাসপাতালের কার্যক্রমকে চলমান আন্দোলেনের বাইরে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এমএমজেড/এমএস