টয়লেট থেকে অপহরণ করে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় স্কুলছাত্রী স্মৃতি আক্তার রীমাকে অপহরণ করে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আয়োজিত মানববন্ধনে রীমার সহপাঠীরা ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, নিহতের পরিবার এবং এলাকার সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। এ সময় রীমাকে গণধর্ষণ ও হত্যায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানায় তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহত রীমার মা আঙ্গুরা খাতুন, ছোট ভাই মাসুদ, মামা মুসলিম, হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আছমা বেগম ও হোসেনপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল প্রমুখ।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে গভীর রাতে স্কুলছাত্রীকে টয়লেট থেকে তুলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে চারজন।
এদিকে নিহত স্কুলছাত্রী স্মৃতি আক্তার রীমার পরিবার অভিযোগ করেছে, এ ঘটনায় মামলার পর থেকে আসামিদের আত্মীয়রা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।
রীমার মা আঙ্গুরা খাতুন বলেন, মেয়েকে হত্যার ঘটনায় মামলার পর আসামি রাজুর বাবা মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা।
গত বুধবার রাতে পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী এলাকায় নানা বাড়ি বেড়াতে এসে গণধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয় হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী স্মৃতি আক্তার রীমা। বৃহস্পতিবার সকালে নানা বাড়ির পেছনে একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় রীমার মা আঙ্গুরা খাতুন বাদী হয়ে চরফরাদী গ্রামের জাহিদ, পিয়াস, রুমান ও রাজু নামে চার যুবককে আসামি করে শুক্রবার রাতে মামলা করেন। রাতে টয়লেটে গেলে আসামিরা মেয়েটিকে অপহরণ করে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
নূর মোহাম্মদ/এএম/এমএস