ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রানীনগরে বেড়িবাঁধ ভেঙে ৩ গ্রাম প্লাবিত

জেলা প্রতিনিধি | নওগাঁ | প্রকাশিত: ০৫:৩৩ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৯

নওগাঁর রানীনগরের ছোট যমুনা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার মালঞ্চি গ্রামের ছোট যমুনা নদীর বেড়িবাঁধ প্রায় ৫০ হাত ভেঙে যায়। এতে পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েকশ পুকুর, আমন ধান ও শতাধিক হেক্টর সবজির ক্ষেত।

অপরদিকে মান্দা উপজেলার আত্রাই নদীর পানি কমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আত্রাই নদীতে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীতে পানি হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছিল। পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় গত বুধবার ভোরে উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের চকবালু নামক স্থানে আত্রাই নদীর ডান তীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ১০০ ফুট ভেঙে প্রসাদপুর-জোকাহাট যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে এ উপজেলার ২২টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। গরু-ছাগল নিয়ে অসংখ্য মানুষ সড়ক ও বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছে।

Naogaon-Flood-Pic01.jpg

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে জেলার আত্রাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া এ উপজেলার জোতবাজার পয়েন্টে ১৬ দশমিক ৬৪ মিটার, মহাদেবপুর আত্রাই নদীতে ১৭ দশমিক ৮২ মিটার ও ধামইরহাট উপজেলার শিমুলতলী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ দশমিক ৮০ মিটার সমানভাবে প্রবাহিত হচ্ছে।

রানীনগরের গোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত খাঁন বলেন, এ উপজেলার নান্দাইবাড়ি, মালঞ্চি ও কৃষ্ণপুর এলাকায় ছোট যমুনা নদীর বেড়িবাঁধ নির্মিত হওয়ার পর থেকে কোনো সংস্কার করা হয়নি। ফলে বাঁধটি দীর্ঘদিন যাবত চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। বাঁধটির মালঞ্চি এলাকার কিছু অংশ ভেঙে যাওয়া নদীর তীরবর্তী কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে করে এলাকার কয়েকশ পুকুর ও শতাধিক হেক্টর সবজির আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও নওগাঁ-আত্রাই সড়কের বেশকিছু জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় স্থানীয়রা কাজ করে যাচ্ছেন।

Naogaon-Flood-Pic01.jpg

রানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ও ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও ভেঙে যাওয়া অংশ বাঁধার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আব্বাস আলী/আরএআর/এমএস

আরও পড়ুন