যমুনায় কমলেও বাড়ছে ব্রহ্মপুত্রের পানি
যমুনার পানি সামান্য কমলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজান থেকে পানি ছড়িয়ে পড়ছে ভাটির এলাকাগুলোর দিকে। জেলার ৬৮ ইউনিয়নের মধ্যে ৬১টি ইউনিয়ন এখন বন্যা কবলিত। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৫ লাখ মানুষ।
এদিকে ৮ দিন ধরে যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকায় মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে পানিবাহিত রোগ। বন্ধ রয়েছে ৯৮৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান।
বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও গো-খাদ্যের চাহিদা তীব্র হয়ে উঠেছে। এখন পর্যন্ত অনেক এলাকায় ত্রাণ পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ দুর্গতদের। তলিয়ে গেছে অন্তত ১৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল।
এদিকে সড়কে পানি ওঠায় ভেঙে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এখনও বন্ধ রয়েছে জামালপুর থেকে তারাকান্দি হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত ও জামালপুর থেকে দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত রেল যোগাযোগ। বিশেষ করে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় পৌরসভাসহ ৯০ ভাগ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
জামালপুর জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা নায়েব আলী জানান, এখন পর্যন্ত বন্যা কবলিত এলাকায় ৩৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয় নিয়েছে ৭ হাজার ৫৪৪ জন।
জামালপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত এলাকার জন্য ৮৫০ মেট্রিক টন চাল ও ১৪ লাখ ৫০ হাজার নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বন্যার্তদের মাঝে প্রতিদিন রুটি ও খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে।
আসমাউল আসিফ/এফএ/এমকেএইচ