ট্রেনে গুলিবর্ষণের ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ নেতারা জড়িত : হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, পাবনার ঈশ্বরদীতে ১৯৯৪ সালে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলিবর্ষণের ঘটনার সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতারা নিশ্চয় জড়িত ছিলেন। এ সংক্রান্ত মামলার রায়ে দোষীদের পক্ষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতি এবং বিএনপির এমপিদের ভূমিকা দেখেই এ বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে শহরের দোয়েল সেন্টারে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওই হামলার সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতারা জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
সম্প্রতি আদালত প্রাঙ্গণে ছুরিকাঘাতের বিষয়টি উল্লেখ করে হানিফ বলেন, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এ ঘটনা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে। ২০০৪ সালে বিএনপির আমলে দুজন বিচারপতিকে হত্যা করা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে বোমা হামলা চালানো হয়। এমনকি ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপরও হামলা চালানো হয়। বিএনপি অতীত ভুলে এখন নোংরা রাজনীতি করছে।
তিনি বলেন, বিএনপি আমলে দেশ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল। খালেদা জিয়া ও তার ছেলেরা লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচারে ব্যস্ত ছিলেন। তাদের জন্য এদেশ সারাবিশ্বে একটি সন্ত্রাসী দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া শেষ আশ্রয় হিসেবে ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিনের সহায়তায় ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে তারা সফল হয়নি।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ দেশকে উন্নত রাষ্ট্রের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের পাবনা শাখা আহ্বায়ক জামিরুল ইসলাম মাইকেলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ বাহাউদ্দিন নাছিম। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ এমপি।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু কাওসার মোল্লা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুর রহমান শরীফ ডিলু এমপি, অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি, মকবুল হোসেন এমপি, আহমেদ ফিরোজ কবির এমপি, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি প্রমুখ।
সম্মেলনের আলোচনা পর্ব শেষে কমিটির নাম ঘোষণা ছাড়াই কেন্দ্রীয় নেতারা পাবনা ত্যাগ করেন। কমিটি পরে ঘোষণা করে হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সুইট জানান, সম্মেলন সফলভাবে শেষ হয়েছে। কেন্দ্র ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক যাদের যোগ্য মনে করবেন তাদের দিয়েই কমিটি পরে ঘোষণা করা হবে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটির জন্য হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সুইট, সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের সাবেক ভিপি আবদুল আজিজ, খন্দকার আহমেদ শরিফ ডাবলু, ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম রুমন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সেলিম হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মামুন আজিজ খান তুষার, জেলা যুবলীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক জুয়েল চৌধুরী, এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আহসানুল সরকার রাজিব প্রমুখ।
একে জামান/এমবিআর/পিআর