ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মান্দায় তিন কলেজে পাস করেনি কেউ

জেলা প্রতিনিধি | নওগাঁ | প্রকাশিত: ১২:১১ পিএম, ১৮ জুলাই ২০১৯

চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় নওগাঁর মান্দা উপজেলার তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থীই অকৃতকার্য (ফেল) হয়েছে। অর্থাৎ এসব বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীই পাশ করেনি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- চককানদেব আদর্শ কলেজ, চকউলি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এবং কাঞ্চন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। বুধবার ফলাফল প্রকাশের পর বিকেলের দিকে বিষয়টি জানা গেছে।

চকউলি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় ১৪ জন অংশ নেয়। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে একজন ও মানবিক বিভাগ বিভাগ থেকে ১৩ জন। এছাড়া চককানদেব আদর্শ কলেজ থেকে ৯ জন এবং কাঞ্চন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে দুই জন পরীক্ষায় অংশ নেয়।

জানা গেছে, মান্দা উপজেলায় পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে কলেজের পাঠদানের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে যে তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে এবার শতভাগ অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে মূলত সেসব প্রতিষ্ঠান মাধ্যমিক স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক (কলেজ) হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম হওয়ায় দূর্বল শিক্ষার্থীরা ভাল কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় না। ফলে বাধ্য হয়ে এসব কলেজে ভর্তি হয়। এছাড়া এসব মাধ্যমিক স্কুল থেকে যারা এসএসসি পাশ করেছে তারা এ কলেজে ভর্তি হয় না। ভাল রেজাল্টের জন্য বাইরের কলেজে ভর্তি হয়। আর নতুন এসব কলেজ থেকে অকৃতকার্য হওয়াকে শিক্ষার্থীরা দুর্বল বলে চাপিয়ে দিচ্ছেন শিক্ষকরা।

চকউলি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই কলেজ ২০১২ সালে উচ্চমাধ্যমিকের পাঠদানের অনুমতি পায়। এবার ১৪ জন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই ইংরেজিতে ফেল করেছে। এর কারণ হচ্ছে সবাই দুর্বল শিক্ষার্থী। আমার স্কুল থেকে এসএসসিতে ভাল ফলাফল করা সব শিক্ষার্থী বাইরের কলেজে ভর্তি হয়েছে।’

কাঞ্চন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন বলেন, কলেজটিকে ২০১৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠদানের পা অনুমতি দেয়া হয়। এ কলেজের দুই শিক্ষার্থী মানবিক বিভাগ থেকে ফরম পূরণ করেছিল। যথাসময়ে প্রবেশপত্র (অ্যাডমিট কার্ড) দেয়া হলেও তারা পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। এ কারণে এবার এইচিএসসিতে শূন্য ফলাফল হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়ায় যারা ভাল কলেজে ভর্তি হতে পারেনি মূলত তারাই এ কলেজে ভর্তি হয়েছিল। আর গ্রামের গরিব শিক্ষার্থীরা মূলত শ্রমজীবী।

আর চককানদেব আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল মুঠোফোন রিসিভ না করায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ কিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খন্দকার মুশফিকুর রহমান বলেন, তিনটি প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। চিঠির জবাব পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আব্বাস আলী/এমএমজেড/জেআইএম

আরও পড়ুন