জামালপুরে বাড়ছে বন্যা, বাড়ছে দুর্ভোগ
যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি ট্রেন চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে কিছু জায়গায়। পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী জানান, মাদারগঞ্জের নাদাগাড়িতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৬০ মিটার ভেঙে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আরও ৩০টি গ্রাম। সবমিলিয়ে জেলার ৬৮ ইউনিয়নের মধ্যে ৫৯টি ইউনিয়নই এখন বন্যা কবলিত। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন সাড়ে ৪ লাখের বেশি মানুষ। ভেঙে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও।
রেলওয়ের জামালপুরের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) কবির হোসেন রানা ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণার কথা জানিয়ে বলেন, রেল লাইনের বিভিন্ন জায়গায় পানি ওঠায় জামালপুর-সরিষাবাড়ী-বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত ও জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজিব কুমার সরকার জানান, বন্যায় ৭৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। ২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫ হাজার ৭২০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তলিয়ে গেছে অন্তত ১৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গো-খাদ্যের সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৩৭০ মেট্রিক টন চাল, নগদ সাড়ে ৬ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল বলছেন দুর্গতরা।
আসমাউল আসিফ/এফএ/জেআইএম