এক কলেজের সবাই ফেল
এইচএসসি পরীক্ষায় শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বিষ্ণুপুর খন্দকারবাড়ি কলেজের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি। বুধবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, কলেজের ১৪ শিক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।
এর মধ্যে মানবিকে ১০ জন, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে দুইজন করে মোট ১৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু তাদের কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
এদিকে, জেলায় পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে সদর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান মডেল ডিগ্রি কলেজ। এ কলেজের পাসের হার ৯৯.৬২। এ কলেজ থেকে সব বিভাগ মিলে ২৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে একজন জিপিএ-৫ সহ ২৫৯ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে।
আর জিপিএ-৫ এ শীর্ষে রয়েছে শেরপুর সরকারি কলেজ। এ কলেজ থেকে এক হাজার ৯৫৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে এক হাজার ৫০৯ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ জন।
এছাড়া অন্যসব কলেজ মিলিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৭ জন। জেলার ২৮টি কলেজের মধ্যে ১৭ কলেজের কোনো পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি। তবে শেরপুর বিজ্ঞান কলেজও এবার ভালো করেছে। এখান থেকে ৬৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৫৬ জন পাস করেছে। পাসের শতকরা হার ৮৮ দশমিক ৭১।
এদিকে, মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের আলিম পরীক্ষায় শেরপুরের ২৪টি মাদরাসার মধ্যে সাতটি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। শতভাগ পাস এবং চারজন জিপিএ-৫ পেয়ে জেলার শীর্ষে রয়েছে শেরপুর শহরের ইদ্রিসিয়া কামিল মাদরাসা। এ মাদরাসা থেকে ৫৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে চারজন জিপিএ-৫ সহ সবাই পাস করেছে।
এছাড়া শতভাগ পাস করা অন্য ছয়টি মাদরাসা হলো- বিবিরচর রাহমানিয়া ফাজিল মাদরাসা, পাঁচকাহনীয়া আলিম মাদরাসা, ধুকুরিয়া আলিম মাদরাসা, রাজনগর রাহমানিয়া ফাজিল মাদরাসা, নালিতাবাড়ী গড়কান্দা মহিলা আলিম মাদরাসা ও কুমড়ি তেঘরিয়া ফাজিল মাদরাসা।
হাকিম বাবুল/এএম/পিআর