কাজিপুরে পানিবন্দি ৫শ পরিবার
যমুনা নদীর পানির প্রবল স্রোতে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে জেলা পরিষদের বিকল্প রিং বাঁধের অন্তত ৬০ মিটার এলাকা ধসে ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মুহূর্তেই পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫ শতাধিক পরিবার।
এসব পানিবন্দি লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে আনতে উদ্ধার অভিযান চলছে। কাজিপুর-ধুনট সড়কের আধা কিলোমিটার এলাকা ডুবে গেছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাঁধে ধস শুরু হয়। ধীরে ধীরে ধসের পরিধি বাড়তে থাকে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রবল বেগে লোকালয়ে পানি ঢুকতে থাকে।
কাজিপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিপ্লব সরকার জানান, যমুনার ভাঙন থেকে রক্ষায় উপজেলার মেঘাই, নতুন মেঘাই, পাইকড়তলী, কুনকুনিয়া ও পলাশপুর গ্রামের দেড় হাজার পরিবারকে রক্ষায় নির্মিত রিং বাঁধটির মেঘাই আটাপাড়া অংশে আজ রাত ১০টার পর থেকে ধস দেখা দেয়।
তিনি জানান, ধীরে ধীরে বিস্তৃত হয়ে বাঁধটির প্রায় ৬০ মিটার এলাকা ভেঙে যায়। এতে প্রবল বেগে পানি ঢুকে পড়ে ওই ৫টি গ্রাম মুহূর্তেই প্লাবিত হয়ে যায়। ইতোমধ্যে ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী পরিবারের শিশু-বৃদ্ধ, গৃহপালিত পশুসহ বিভিন্ন জানমাল উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
কাজিপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার (এসও) ফরিদ উদ্দিন জানান, আমরা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছি। তবে পানির প্রবল স্রোতের কারণে নৌকা নিয়ে যেতে সমস্যা হচ্ছে।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, রাতে হঠাৎ করেই বাঁধটিতে ধস দেখা দেয়ায় বাঁধের পাশের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দিদের জানমাল নিরাপদ সরিয়ে আনতে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা কাজ করছে।
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এমআরএম