ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যানের চাপায় মৃত্যুর মুখে ট্রাফিক সার্জেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক | বরিশাল | প্রকাশিত: ০৬:০৯ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৯

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যানের চাপায় ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

barisal2

এ ঘটনায় কাভার্ডভ্যানচালককে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। আহত সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত। তার বাড়ি পটুয়াখালী। আটক কাভার্ডভ্যানচালক জলিল সিকদার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার মৃত জলিল সিকদারের ছেলে।

southeast

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর-দফতর) হাবিবুর রহমান খান জাগো নিউজকে বলেন, সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিছুটা দূরে জিরো পয়েন্ট এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় যমুনা গ্রুপের একটি কাভার্ডভ্যান বরিশাল যাচ্ছিল। বেপরোয়া গতির কারণে সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া কাভার্ডভ্যানটি থামানোর সংকেত দেন। তা অমান্য করে কাভার্ডভ্যানটি দ্রুতগতিতে চালাতে থাকেন চালক। সার্জেন্ট কিবরিয়া মোটরসাইকেল নিয়ে ধাওয়া করে ট্রাকের সামনে গিয়ে পথরোধ করলে কাভার্ডভ্যানটি তাকে চাপা দেয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। অন্যদিকে কাভার্ডভ্যানটি নিয়ে দ্রুতগতিতে চালক পালিয়ে যায়।

barisal2

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান খান আরও বলেন, ঘটনাটি আশপাশের থানা পুলিশকে জানিয়ে দেয়া হলে ঝালকাঠির নলছিটি থানা পুলিশ ট্রাক ও ঘাতক চালক জলিল সিকদারকে আটক করে। আহত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর।

barisal2

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম বাকির হোসেন বলেন, পুলিশের সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়ার দুই পা গুরুতর জখম হয়েছে। তার পায়ের বেশ কয়েকটি জায়গা ভেঙে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়াকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

সাইফ আমীন/এএম/এমএস