খাগড়াছড়িতে পানিবন্দি ১৫ হাজার মানুষ
বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির ১৫ হাজার মানুষ। প্রবল বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে গ্রামীণ সড়ক আর কালভার্ট। নষ্ট হয়েছে কৃষি জমির ফসল। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে শত শত পুকুরের মাছ।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও পানছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নেমে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকজন নিজেদের বসত বাড়িতে ফিরে গেলেও অপরিবর্তিত আছে দীঘিনালার পরিস্থিতি। এখনও দীঘিনালার ১২টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে তিন শতাধিক পরিবার। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। আশ্রিতদের মাঝে সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
এদিকে মেরুং এলাকার সড়ক ও বেইলি ব্রিজ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দীঘিনালার সঙ্গে পাশের জেলা রাঙ্গামাটির লংগদুর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ এখনও বন্ধ রয়েছে। এদিকে গত কয়েক দিনের মতো আজও খাগড়াছড়িতে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষ।
এদিকে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি সদরের মধুপুর বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক ধসে গেছে। এসব সড়ক দিয়ে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপমারা এলাকায় বড় ধরনের ধস হয়েছে। ভেঙে গেছে দুধকছড়া ফুট ব্রিজ। চেঙ্গী-লোগাং এলাকার অধিকাংশ কাঁচা রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে।
বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সড়ক যোগযোগ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদীর পাড় ভেঙে ভাঙনের মুখে পড়েছে চেঙ্গী ইউপি ভবন। ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ইউপি চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষ। সেই সঙ্গে নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে ইউনিয়ন পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাগজপত্রও।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখতে তাদের একাধিক টিম কাজ করছে।
সাম্প্রতিক টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়িতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এমবিআর/এমকেএইচ