ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

চোখের পলকে ভেঙে গেল পাকা সড়কটি

জেলা প্রতিনিধি | লালমনিরহাট | প্রকাশিত: ০২:০১ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৯

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ও বড়খাতা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র পাকা সড়কটি পানির তোড়ে ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শনিবার দুপুরে তিস্তার পানিতে সড়কটি ভেঙে যায়। এতে হাতীবান্ধা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

শনিবার দুপুরে তিস্তার পানি প্রবাহ দোয়ানি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা ৫৩.০৫ সেন্টিমিটার।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে তিস্তা ভয়ংকর রূপ ধারণ করায় তিস্তা ব্যারেজ এলাকা ও ফ্লাট বাইপাসের উজানে পানি উন্নয়ন বোর্ড রেড এলার্ট জারি করে মাইকিং করেছে। বর্তমানে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে।

flood

এলাকাবাসী জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গড্ডিমারী ইউনিয়ন। পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি।

এছাড়াও হাতীবান্ধা থেকে বড়খাতার বাইপাস সড়কের তালেব মোড় ও মেডিকেল মোড়ে পাকা সড়কটি প্রায় ৫শ মিটার ভেঙে যাওয়ায় ওই এলাকার লোকজনের সঙ্গে উপজেলা শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ ভাঙনের ফলে এরই মধ্যে ওই এলাকার ৩০টি ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ইউনিয়নটির চারপাশের রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় এলাকার লোকজনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

flood

বন্যার পানি হাতীবান্ধা শহরসহ লোকালয়ে প্রবেশ করায় জেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিস্তা পাড়ের লোকজন নিজ নিজ অবস্থান থেকে বালুর বস্তা দিয়ে পানি আটকে রাখার চেষ্টা করলেও বস্তার সংকটে তা সম্ভব হয়ে উঠছে না।

তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, তিস্তার পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের ভেঙে যাওয়া সড়কটি পরিদর্শন করেছি। মেরামতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

রবিউল হাসান/এফএ/জেআইএম

আরও পড়ুন