কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান কিনলেন কুষ্টিয়ার ডিসি
কুষ্টিয়ায় দ্বিতীয় পর্যায়ে কৃষকের কাছ থেকে আবারও ধান কেনা শুরু করেছে খাদ্য বিভাগ। তবে এবার গ্রামে গিয়ে প্রান্তিক কৃষক খুঁজে খুঁজে তাদের কাছ থেকে গ্রাম থেকে ধান কেনা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আসলাম হোসেন এ ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন। সেই সেঙ্গ বিভিন্ন কৃষকের বাড়ি গিয়ে ধান কিনলেন ডিসি।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরী, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনোয়ার হোসেন, ভারপ্রাপ্ত জগতি গুদাম কর্মকর্তা অনিন্দ কুমার দাশ ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিষ্ণ পদ সাহা উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় দফায় এবার জেলায় সরকার নির্ধারিত ২৬ টাকা দরে প্রতি কেজি অর্থাৎ ১০৪০ টাকায় এক হাজার ৭০৬ টন ধান কেনা হচ্ছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ৬৬৪ টন কেনা হচ্ছে।
এর আগে প্রথম দফায় এক হাজার ২৪ টন ধান কেনা হয়েছিল। ওই সময়ও প্রতি ইউনিয়নে গিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হয়েছিল। সারাদেশে ধানের দাম পড়ে যাওয়ায় কৃষকদের কথা বিবেচনা করে আবারও ধান কেনার বিষয়টি বিবেচনায় নেয় সরকার।
জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, এমনিতেই ধানের দাম কম। অনেক প্রান্তিক কৃষক আছেন, যারা ধান বিক্রি করতে হিমশিম খাচ্ছেন। আমরা গরিব কৃষকদের সুযোগ দিতে চাই। যাতে তারা কিছুটা হলেও লোকসান পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। দ্রতসময়ের মধ্যে ধান কেনা শেষ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রথম দফায় গ্রামে গিয়ে যাচাই-বাছাই করে ধান কেনা হয়েছিল। এবারও কৃষকদের কথা বিবেচনায় নিয়ে ধান কেনা হচ্ছে। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করেই ধান কেনা হবে। সিন্ডিকেট সুবিধা নিতে চাইবে। সেক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রকৃত কৃষকদের তালিকা করে ধান কেনা হবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, এবার প্রতি গ্রামে গ্রামে পুলিশ দিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। যারা গরিব কৃষক তাদের ধান অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কেনা হবে। একজন কৃষক এক টনের বেশি ধান দিতে পারবেন না। এতে সবাই সরকারের কাছে ধান বিক্রি করে লাভবান হতে পারবে। আর ধান কেনায় কোনো অনিয়ম বা জনপ্রতিধি কিছু করার চেষ্টা করলে আইনের আওতায় আনা হবে।
আল-মামুন সাগর/এএম/জেআইএম