ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রেলওয়ের পাকশী বিভাগে অতিরিক্ত আয়

প্রকাশিত: ০৯:৩২ এএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশী বিভাগে চলতি অর্থ বছরে যাত্রী, পার্সেল ও মালামাল বহন করে প্রায় ৬১ কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় করেছে। যা গত বিশ বছরের আয়ের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক খায়রুল আলম ও পাকশী বিভাগের ব্যবস্থাপক আফজাল হোসেনের সঠিক নির্দেশনা, তদারকি ও দায়িত্বশীলতার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। রেলওয়ে পাকশী বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রের দেয়া তথ্য মতে এসব জানা গেছে।

সূত্র মতে, গত ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে যাত্রী বহন করে ১৩৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, পার্সেল বহনে ৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা , মালামাল বহনে ৪৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা ও বিবিধ খাতে ৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা মিলে মোট ১৯১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা আয় করা হয়।

২০১৪-১৫ অর্থ বছরে যাত্রী বহন করে ১৪৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, পার্সেল বহনে ৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, মালামাল বহন করে ৯৩ কোটি ১০ লাখ টাকা ও বিবিধ খাতে ৪ কোটি ৭ লাখ টাকা মিলে মোট ২৫২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আয় করা করেছে। যা গত অর্থ বছরের তুলনায় প্রায় ৬১ কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় করেছে।

পাকশী বিভাগের ব্যবস্থাপক আফজাল হোসেন জাগো নিউজকে জানান, স্টেশন বন্ধ থাকা, ঢাকামুখী ট্রেনে বেশি কোচ সংযোজন করতে না পারা, চালক (এলএম) ও গার্ড সঙ্কট থাকার পরও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের কারণে চলতি অর্থ বছরে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে এ অতিরিক্ত  আয় করা সম্ভব হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্টেশন চালু, ঢাকামুখী ট্রেনে কোচ সংযোজন, চালক (এলএম) ও গার্ড সঙ্কট না থাকলে আরও বেশি আয় করা সম্ভব হতো।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল আলম জাগো নিউজকে জানান, রেল মন্ত্রণালয়ের সঠিক নির্দেশনায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সকল বিভাগে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছেন। লোকবল, কোচ, এলএম ও গার্ড স্বল্পতা কাটিয়ে উঠা এবং বন্ধ স্টেশনগুলো চালুর জোর চেষ্টা চলছে। আশা করা যায় স্বল্প সময়ের মধ্যেই এসব সমস্যা সমাধান হলে ট্রেনমুখী যাত্রীদের সুবিধা ও রেলের আয় আরও বৃদ্ধি পাবে।

আলাউদ্দিন আহমেদ/এমজেড/পিআর