রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করলেন পুলিশ-বিজিবি ও র্যাব প্রধান
দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার তিন প্রধান বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ’র (বিজিবি) মহা-পরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়নের (র্যাব) মহা-পরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন। মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন।
বেলা ১১টার দিকে বিমান যোগে কক্সবাজার পৌঁছেন এবং বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। প্রথমে কুতুপালংস্থ মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত পুলিশ ক্যাম্পে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে পরে ১৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
এসময় তারা উপস্থিত পুলিশ সদস্যসহ আই শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বরত সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। সন্ধ্যা ৭টার দিকে পরিদর্শকদল কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ক্যাম্প ত্যাগ করেন বলে জানান কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুরিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ শরণার্থী ক্যাম্প কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গার বাস। সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা শিবিরের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগ ছড়িয়েছে। শিবিরগুলোতে রোহিঙ্গাদের নানা সন্ত্রাসী গ্রুপ উগ্রবাদে জড়াতে পারে এমন শঙ্কার কথাও উঠে এসেছে বার বার। এছাড়াও রোহিঙ্গা শিবিরগুলো ইয়াবার ডিপোতে পরিণত হয়েছে বলেও খবর ছড়িয়েছে। এসবের পাশাপাশি রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি সেজে ভিনদেশে পাড়ি দিতে বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। কক্সবাজারের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট পেতে ব্যর্থ হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের অবাধ যাতায়াত ও অপরাধ দমনে করণীয় নির্ধারণে তিন সংস্থান প্রধানগণ ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।
এসপি মাসুদ হোসেন জানান, মূলত রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়দের জনজীবন অনিরাপদ এবং শিবিরগুলোতে যাতে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গাদের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে না পারে সেটাই তিন বাহিনী প্রধান দেখেছেন। ঢাকায় ফিরে রোহিঙ্গা শিবিরের চতুর্দিকে ঘেরা দেয়াসহ নিরাপত্তা জনিত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের সুপারিশ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এসময় পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান ও পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহীদুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খোন্দকার গোলাম ফারুক, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। তারা বুধবার ঢাকা ফিরে যাওযার কথা রয়েছে।
সায়ীদ আলমগীর/এমএএস/এমএস