বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না ছয় শতাধিক ছাত্রী
বরিশালের মুলাদী উপজেলার গফুর মল্লিক বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছয় শতাধিক ছাত্রীকে সড়কের কাদাপানি পেরিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়। বেলতলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ থেকে গার্লস স্কুল সংযোগ সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
এ কারণে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম নষ্ট হয়ে গেলে ক্লাস না করে বাড়িতে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসলেও কোনো কাজ হয়নি।
এ অবস্থায় মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মানববন্ধন করে তারা। এ সময় সড়কে জমে থাকা পানিতে বড়শি ফেলে প্রতীকী মাছ ধরে প্রতিবাদ জানায় তারা। পরে শিক্ষার্থীরা সড়ক সংস্কারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে স্মারকলিপি দেয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ের ছয় শতাধিক ছাত্রীকে কাদাপানি পেরিয়ে যাওয়া আসা করতে হয়। অনেক সময় শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম নষ্ট হয়ে গেলে ক্লাস না করে বাড়িতে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। দীর্ঘদিন ধরে সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়ে ব্যর্থ হয়েছি আমরা। তাই এ কর্মসূচি পালন করছি।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দিদারুল আহসান খান বলেন, ১৯৯৫ সালে তৎকালীন সংসদ সদস্য মুলাদী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ থেকে গফুর মল্লিক বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়ক সংস্কার করেন। এরপর দুই যুগ পার হলেও সড়কটি নির্মাণ কিংবা সংস্কার করা হয়নি। ২০০১ সালে মুলাদী পৌরসভা গঠিত হলেও গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ২০১৫ সালে মুলাদী পৌরসভা ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত হলেও সড়কটির কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় ধীরে ধীরে যান ও সাধারণ মানুষের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এনায়েত হোসেন বলেন, বর্ষার শুরুতে ভাঙ্গা সড়কের গর্তে পড়ে ইতোমধ্যে কয়েক ছাত্রী আহত হয়েছে। সড়কের খাদে পানি জমে থাকার কারণে ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসতে চাইছে না। ফলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দিন দিন কমে যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের দেয়া স্মারকলিপির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুলাদী পৌরসভার মেয়রের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সাইফ আমীন/এএম/জেআইএম