‘সমাধি রংপুরে করার অসিয়ত করেছিলেন এরশাদ’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রংপুরের বাসভবন পল্লীনিবাসে নিজ সমাধি করার অসিয়ত করেছিলেন বলে জানিয়েছেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর সেন্ট্রাল রোডে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে তার (এরশাদ) শেষ ইচ্ছে পূরণে নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানান রসিক মেয়র।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র মোস্তফা বলেন, মৃত্যু একটি প্রকৃতির নির্ধারিত নিয়ম। যা কখনো খণ্ডানো যায় না। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমাদের রাজনৈতিক পিতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্যার যদি পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন, তাহলে তার পবিত্র সমাধি কোথায় হবে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এক্ষেত্রে আমাদের একমাত্র দাবি স্যারের অসিয়ত করা স্থান পল্লীনিবাসে সমাধি করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এরশাদ স্যার অসুস্থ শরীর নিয়ে এ বছরের মার্চে রংপুরে এসেছিলেন। তিনি নিজেই বলেছিলেন আমার শরীর ভালো নেই। আমি যেকোনো সময় মৃত্যুবরণ করতে পারি। তোমরা আমার ডিজাইনে পল্লীনিবাসে আমার সমাধি কমপ্লেক্স করিও। আমি মৃত্যুর পরও তোমাদের মাঝে থাকতে চাই।’
এসময় মোস্তাফিজার রহমান বলেন, স্যার অসুস্থ থাকার কারণে ওই ডিজাইন সম্পর্কে জনসম্মুখে বলতে পারেননি। আজ তার সমাধি কোথায় হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। তাই আমরা চাই এখানেই (রংপুরে) তার সমাধি হউক। আমরা রংপুরবাসী এরশাদের সমাধিকে আঁকড়ে ধরেই তার জীবন-দর্শন বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আব্দুল বারী, রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিক নেতা তোফাজ্জল হোসেন তোফা, মহানগর শ্রমিক পার্টির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, জেলা ছাত্রসমাজের আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম জবা, যুগ্ম আহ্বায়ক আল-আমিন সুমন প্রমুখ।
জিতু কবির/এমবিআর/জেআইএম