লঞ্চের টয়লেট থেকে পড়ে নারী নিখোঁজ, ১৫ কি.মি. দূরে লাশ
বরিশাল থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন-১০ লঞ্চ থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ নারী হেনারা বেগমের (৫০) মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল বরিশালের হিজলা উপজেলা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চরশেফালী এলাকা সংলগ্ন মাসকাটা ও কালাবদর নদীর সংযোগস্থলে তার মরদেহ ভেসে ওঠে। মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা কোস্টগার্ডের সদস্যদের খবর দেন। পরে কোস্টগার্ডের সদস্যরা তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
এর আগে শনিবার রাত ১১টার দিকে লঞ্চের পেছন থেকে পড়ে যান হেনারা বেগম। সুন্দরবন-১০ লঞ্চের নিচতলার ডেকের যাত্রী ছিলেন তিনি। হেনারা বেগম ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া এলাকার মন্টু হাওলাদারের স্ত্রী।
হিজলা কোস্টগার্ডের কমান্ডার মো. কাওসার আহম্মেদ বলেন, ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে শনিবার রাতে বরিশাল থেকে সুন্দরবন-১০ লঞ্চের নিচতলার ডেকে উঠেন হেনারা। রাত ১১টার দিকে লঞ্চের বাথরুমে গিয়ে হিজলা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে পড়ে যান তিনি। খবর পাওয়ার পর থেকে কেস্টাগার্ড, নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি থানা পুলিশ তাকে উদ্ধারে অভিযানে নামে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চরশেফালী এলাকা সংলগ্ন মাসকাটা ও কালাবদর নদীর সংযোগস্থলে তার মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা কোস্টগার্ডকে খবর দেন। পরে কোস্টগার্ড সদস্যরা গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মো. আবিদুর রহমান বলেন, মরদেহটি হেনেরা বেগমের বলে তার স্বজনরা শনাক্ত করেছেন। এরপর মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সাইফ আমীন/এএম/এমএস