ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

১০০ টাকায় চাকরি, এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না সাহেব আলীরা

জেলা প্রতিনিধি | যশোর | প্রকাশিত: ১০:১৬ এএম, ০৮ জুলাই ২০১৯

যশোরের ঝিকরগাছা থানার সামনে প্রায় ২০ বছর ধরে নাপিতের কাজ করেন রবিউল ইসলাম। তার ছেলে সাহেব আলী এ বছর পুলিশের কনস্টেবল পদে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন।

সাহেব আলী জানান, একশ টাকার চালান আর তিন টাকার স্ট্যাম্পের খরচে চাকরি হয়েছে। লাইনে দাঁড়ানোর পর কত লোক কত কথা বলেছে! কিন্তু চাকরির জন্য কোনো টাকা লাগেনি। টাকা ছাড়া যে চাকরি হবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি!

এদিকে ঝিকরগাছার গদখালি এলাকার কাশেম আলী ৬/৭ বছর ধরে বাজারে সবজি বিক্রি করেন। এর আগে জীবন জীবিকার তাগিদে রিকশা চালাতেন। সেই কাশেম আলীর ছেলে আবুল বাশারও পুলিশ কনস্টেবলের চাকরির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

আবুল বাশার জানান, অনেক কষ্ট করে দাখিল পাস করেছেন। এখন লাইনে দাঁড়িয়ে কোনো ঘুষ না দিয়ে চাকরি হয়েছে। এভাবে চাকরি পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। তার বাড়ির লোকজন ভাবতেই পারেনি এভাবে ঘুষ ছাড়া চাকরি পাওয়া যায়!

শুধু সাহেব আলী বা আবুল বাশার নন, যশোর জেলায় এবার পুলিশের কনস্টেবল পদে ২২৩ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

Jashore-constabol

যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, যশোর পুলিশ লাইন্সে গত ২২ জুন ১৯ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য ১ হাজার ৯৫০ জন শারীরিক পরীক্ষায় অংশ নেন। এদের মধ্যে উত্তীর্ণ হন ১ হাজার ৬৯ জন। উত্তীর্ণরা ২৪ জুন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন এবং পাস করেন ৩৫৪ জন। ২৬ জুন মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ২২৩ জন চূড়ান্তভাবে মনোনীত হন।

যশোরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রাকিব হাসান বলেন, শুধু সাহেব আলী বা আবুল বাশার নন; এবার যশোরের ৮ উপজেলার অনেক কৃষক, শ্রমিকসহ দরিদ্র পরিবারের সন্তান চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন। তারা ভাবতেই পারেননি এভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে পরীক্ষা দিয়ে পুলিশের চাকরি পাওয়া যায়।

সহকারী পুলিশ সুপার রাকিব হাসান আরও বলেন, এ বছর পুলিশ মহাপরিদর্শকের নির্দেশে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি পুলিশ সুপার মঈনুল হক কঠোরভাবে তদারকি করেছেন। ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। কোনো ধরনের অনৈতিকতার আশ্রয় ছাড়াই মেধাবী ও যোগ্যরা নির্বাচিত হয়েছেন। এভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে বলেও তিনি মনে করেন।

মিলন রহমান/এফএ/পিআর

আরও পড়ুন