বান্দরবানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা
পাহাড়ে ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে থাকা লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে আসার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। এজন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে খোলা হয়েছে ১২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র।
রোববার দুপুরে ২টার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম।
তিনি জানান, জনগণ যদি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে সরে না আসে বিশেষ করে যেসব এলাকায় পাহাড় ধসের সমূহ আশঙ্কা রয়েছে সেসব এলাকা থেকে আমরা তাদেরকে সরিয়ে আনার অধিকতর চেষ্টা করব।
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পাহাড় ধসের আশঙ্কা ও বিভিন্ন এলাকায় বন্যা দেখা দেয়ার প্রবণতাকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে ১২৬টি খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। এর মধ্যে বান্দরবান সদরে ১০টি, লামায় ৫৫টি, রুমায় ৬টি, থানচিতে ৩টি, আলীকদমে ১০টি, রোয়াংছড়িতে ২২টি ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ২০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ার কারণে জেলার সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে লামা উপজেলার পৌর এলাকাসহ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও জেলা শহরের ইসলামপুর, আর্মিপাড়া, শেরে বাংলা নগরসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে ।
লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাকের হোসেন মজুমদার জানান, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিপূর্ণভার বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের মাধ্যমে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ তৎপরতা চালানোর জন্য এবং কন্ট্রোল রুম খোলার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে উপজেলা প্রশাসনে জরুরি বার্তা পাঠানো হয়েছে।
লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, আশ্রয় কেন্দ্র খোলার পাশাপাশি আশ্রয়গ্রহীতাদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে শুকনো খাবার, খিচুড়ি ও পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বান্দরবানের থানচি উপজেলার সাঙ্গু নদীর পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে যাতায়াত ঝুঁকির কারণে উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটক যাতায়াতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
সৈকত দাশ/এমবিআর/এমএস