ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ছেলে সন্তান না থাকায় এত দুর্ভোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদক | রাজশাহী | প্রকাশিত: ০৯:৪৩ এএম, ০৭ জুলাই ২০১৯

প্রবাসফেরত সোহরাব আলীর চার মেয়ে। ছেলে না থাকায় তার বসত ভিটার ওপর নজর পড়েছে আপন ভাই ও ভাতিজাদের। উৎখাত করতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে চলাচলের রাস্তা। এতে প্রায় চার বছর ধরে অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বালিয়াঘাট্টা এলাকার সোহরাব আলীর পরিবার। বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে মাঝে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। অভিযোগ গেছে থানা পুলিশের কাছেও। কিন্তু প্রতিকার পাননি সোহবার আলী।

সোহারাব আলী দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছেন নানান শারীরিক জটিলতায়। এই পরিস্থিতিতে জমির অধিকার নিয়ে অনিশ্চয়তায় তার মেয়েরা। প্রতিনিয়ত হুমকিতে মেয়েদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন সোহরাব আলী।

ভুক্তভোগী সোহরাব আলীর মেয়ে জান্নাতুল আকমাম জানান, দাদা নাজিরুদ্দিন বিশ্বাসের ছয় সন্তানের মধ্যে তার বাবা চতুর্থ। বালিয়াঘাট্টা গুলগফুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ঘেষে এক বিঘা জমির উপর তাদের পৈতৃক নিবাস। দাদার মৃত্যুর পর বাবা-চাচারা ছয় ভাই বসত ভিটায় ভাগ পান।

ছেলে না থাকায় তার বাবাকে অংশ দেয়া হয়েছে একেবারেই পেছনের দিকে। কথা ছিল, বাড়ি থেকে বের হওয়ার ৫ ফিট চওড়া রাস্তা থাকবে। কিন্তু রাস্তা না ছেড়েই পাকা ঘর তুলে দেন চাচারা। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তারা। প্রতিবাদ করলে চাচা ও চাচাতো ভাইরা তাদের ওপর চড়াও হন।

এনিয়ে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে স্থানীয়ভাবে সালিশ হয়। ওই সময় জমির ভাগ-বাটোয়ারা হলে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। ওই সময় থানা পুলিশের মধ্যস্থতায় সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু এখনো চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা ছাড়েননি চলাচলের রাস্তা। রাস্তা চাওয়ায় নানাভাবে হয়রানি এমনকি নির্যাতনের শিকারও হয়েছেন তারা। থানায় অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার মেলেনি।

Rajsahi

বিষয়টি স্বীকার করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, পরিবারটি একেবারেই অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। বিষয়টি সত্যিই অমানবিক। তিনি সালিশে এটি নিষ্পত্তির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।

অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর থানার এসআই রুহুল, এসআই শামীম ও এসআই আনোয়ান ঘটনা তদন্তে গিয়েছিলেন। জমিজমা-সংক্রান্ত বিষয় হওয়ায় সেটি এখনও নিষ্পত্তি করা যায়নি।

অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পুলিশের গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক খান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, এটি জমিজমা-সংক্রান্ত বিষয়। ভুক্তভোগী পরিবারকে মালিকানার কাগজপত্রসহ লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। সেটি তদন্ত করে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এফএ/জেআইএম

আরও পড়ুন