ধর্ষণের পর কিশোরীকে বিক্রি
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করায় হেলেনা বেগম নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার ৯ দিন পর অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
অভিাযানে ঢাকার উত্তর মুগদা মদিনাবাগের একটি বাসা থেকে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে উদ্ধারসহ ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হেলেনা বেগম পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়ার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের তাহের মৃধার মেয়ে এবং বাবুল সরদারের স্ত্রী।
অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা মনির হোসেন জামাল বরগুনার নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদের উলা পদ্মা (বাবুগঞ্জ) গ্রামের ইউসুফের ছেলে। তিনি এখনও পলাতক।
কিশোরীর পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরী গত ২৫ জুন সকালে চাকরির উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত আদমজী ইপিজেড এলাকায় যায়। সেখানে বেলা ১১টায় মনির চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ঢাকার উত্তর মুগদা মদিনাবাগ এলাকার আব্দুল জব্বারের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে হেলেনা বেগমের সহযোগিতায় মনির হোসেন জামাল তাকে ধর্ষণ করে। পরে হেলেনা বেগম ও মনিরের যোগসাজসে বিভিন্ন সময় ওই কিশোরীকে যৌন ব্যবসা করতে বাধ্য করে।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর দুলাভাই আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন, নানা ওরফে কারফু (৫২), পনির (৪০), নাঈম (৩৫), ইমন (৩২), মাজহারুল (৪৮) ও দেবাশীষ (৩২)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. শামীম হোসেন জানান, অপহরণের পর ধর্ষণ ও নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মামলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতার হেলেনা বেগমসহ পলাতক আসামিরা একটি অপহরণকারী চক্র। চক্রটি চাকরিপ্রার্থী মেয়েদের কৌশলে অপহরণ করে নিজেদের হেফাজতে রেখে পতিতাবৃত্তি করায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হেলেনা বেগম তা স্বীকার করেছেন।
এফএ/জেআইএম