গর্ভের সন্তান নষ্টে পল্লী চিকিৎসকের ওষুধ সেবন, মারা গেলেন গৃহবধূ
গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে রাতে পল্লী চিকিৎসকের দেয়া ওষুধ সেবন করেন গৃহবধূ সুমি বেগম (২৫)। ওষুধ সেবনের পর তার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। একপর্যায়ে শুক্রবার দুপুরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এই গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথরপুরে।
নিহত সুমি বেগম উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের কাতিয়া অলৈতলী গ্রামের ফয়জুল ইসলামের স্ত্রী।
সুমি বেগমের স্বামী ফয়জুল ইসলাম বলেন, সুমি দুই সন্তানের মা। এর আগে দুইটি সন্তানই সিজারে ভূমিষ্ট হয়েছে। ছোট সন্তানের বয়স ১০ মাস। আর বড় মেয়ের বয়স দুই বছর। অসাবধানতাবশত তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়েন। তাই স্ত্রীকে বাঁচাতে গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে স্থানীয় কাতিয়া বাজারের পল্লী চিকিৎসক নিধির দাসের কাছে যান। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার ওষুধ কিনে এনে রাতে স্ত্রীকে খাওয়ান। ওষুধ সেবনের পরপরই তার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। আস্তে আস্তে রক্তক্ষরণ বাড়তে থাকে। শুক্রবার দুপুরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। এ সময় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফয়জুল ইসলাম অভিযোগ করেন, পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার কারণে সুমির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। এতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তারিকুল ইসলাস বলেন, এখানে আসার পূর্বেই ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। অতিরিক্ত রক্তকরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে পল্লী চিকিৎসক নিধির দাস বলেন, দুই মাসের গর্ভ নষ্ট করার জন্য ওই নারী ও তার স্বামী আমার কাছে আসেন। তাদের অনুরোধে আমি গর্ভ নষ্টের জন্য এমএম কিট ট্যাবলেট দিয়েছি। এর বাইরে আর কিছু আমার জানা নেই।
আরএআর/পিআর