১২ ছাত্রীকে ধর্ষণ, সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই মামলা
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ১২ ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আটক মাওলানা আল আমিনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ফতুল্লা মডেল থানায় এই মামলা দুটি করা হয়।
আল আমিনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের শিকার ছাত্রীদের পরিবারের পক্ষ থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি এবং র্যাবের পক্ষ থেকে পর্নোগ্রাফি আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ৪ জুলাই ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকার বায়তুল হুদা ক্যাডেট মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে মাদরাসাটির অধ্যক্ষ মাওলানা আল আমিনকে আটক করে র্যাব-১১। তিনি ওই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এবং একটি মসজিদের ইমামও। র্যাব তার কাছ থেকে বেশ কিছু পর্নো ভিডিও উদ্ধার করে। আল আমিন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ভূঁইয়াপাড়া এলাকার রেনু মিয়ার ছেলে।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন জানান, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত মাওলানা আল আমিন মাদরাসার ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ওই সব শিশু শিক্ষার্থীদের পর্নোগ্রাফি ভিডিও চিত্র দেখিয়ে এবং তাদের ছবি যুক্ত করে পর্নোগ্রাফি বানিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে আসামাজিক কাজে বাধ্য করতেন বলেও জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও জানান, ওই ১২ ছাত্রী ছাড়া আর কোনো ছাত্রীর সঙ্গে ওই শিক্ষক যৌনাচার করেছেন কি-না সে ব্যাপারে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। বর্তমানে শিক্ষক আল আমিন কারাগারে রয়েছেন। পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
শাহাদাত হোসেন/আরএআর/এমকেএইচ