ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

আর ভিক্ষা করবে না ওরা

জেলা প্রতিনিধি | ঠাকুরগাঁও | প্রকাশিত: ০৯:৪২ পিএম, ০৪ জুলাই ২০১৯

আজ থেকে আর ভিক্ষাবৃত্তি করতে হবে না ৮০ বছর বয়সী আমেনা বেগমকে। আমেনা বেগমের সঙ্গে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে চিরতরে মুক্তি পেলেন টংলী বেওয়া, সবুরা বেগম, ইমাম আলী, ভেংলু খাতুন, নিজাম উদ্দীন, খোরো মোহাম্মদও। এদের মধ্যে চারজন এখন ক্ষুদ্র মুদি দোকান ব্যবসায়ী। তিনজন করবেন ছাগল পালন। এদের সবার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়। দীর্ঘদিন ধরে এরা ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন-যাপন করে আসছিল।

ভিক্ষাবৃত্তি পেশা থেকে তাদেরকে চিরতরে মুক্তি দিয়ে পুনবার্সনের ব্যবস্থা করে দিলো বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সমাজসেবা অফিস ও উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ওই সাতজনের মাঝে ২৫ হাজার টাকা মূল্যের মুদি দোকান ও একই মূল্যের চারটি ছাগল তুলে দেন রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আবু তাহের মো. মাসুদ রানা।

Thakurgaon-Help-Pic-2

এ কর্মসূচি উদ্বোধনের পর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আবু তাহের মো. মাসুদ রানা বলেন, এমন একটি কর্মসূচির উদ্বোধন করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে। এমন মহৎ উদ্যোগ হাতে নেয়ার জন্য ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে এ সময় ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নুর কুতুবুল আলম, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক, উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. ফিরোজ সরকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় এক জরিপ থেকে খুঁজে বের করে জেলার ৪ হাজার ১০ জন ভিক্ষুকের মধ্যে ইতিমধ্যে ৯৬৩ জনকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চলতি মাসে চার উপজেলায় আরও ৫৮ জন ভিক্ষুককে ক্ষুদ্র মুদি দোকান এবং চারটি করে ছাগল দিয়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতনের অর্থ দিয়ে এ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

রবিউল এহসান রিপন/আরএআর/এমকেএইচ

আরও পড়ুন