প্রেমিকার কথা রাখলেন প্রেমিক, নববধূকে পাঠালেন পরপারে
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় প্রেমিকাকে কাছে পাওয়ার জন্য স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন স্বামী। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার চরআড়ালিয়া গ্রামের নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর বেরিয়ে আসে স্ত্রীকে হত্যার রহস্য।
নিহত মরিয়ম আক্তার (১৯) উপজেলার চরআড়ালিয়া গ্রামের মো. শাহ আলমের মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামীর নাম মো. রাসেল মিয়া। তিনি একই গ্রামের নয়ন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, তিন মাস আগে চরআড়ালিয়া গ্রামের নয়ন মিয়ার ছেলে রাসেলের সঙ্গে একই গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে মরিয়মের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকে একই গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে রাসেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে করলেও প্রেমিকাকে ভুলতে পারেননি রাসেল। ফলে কিছুদিন আগে পুনরায় প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন রাসেল।
ওই সময় প্রেমিকা রাসেলকে সাফ জানিয়ে দেন বিয়ে করতে হলে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে হবে, না হয় হত্যা করতে হবে। এরই জেরে বুধবার দুপুরে স্ত্রীর গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন রাসেল। পরে স্ত্রীর মরদেহ পাশের নদীতে ফেলে দেন। বাড়িতে স্ত্রীকে না দেখে রাসেলের গতিবিধি সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেন প্রতিবেশীরা।
খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে রাসেলকে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নদী থেকে স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রেমিকাকে কাছে পেতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেন রাসেল।
এ ঘটনায় নিহত মরিয়মের বাবা মো. শাহ আলম বাদী হয়ে বুধবার রাতে রায়পুরা থানায় রাসেলকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। বৃহস্পতিবার রাসেলকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রায়পুরা থানা পুলিশের পরিদর্শক মো. মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য গৃহবধূর মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে রাসেল মিয়াকে আসামি করে রায়পুরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন রাসেল মিয়া।
সঞ্জিত সাহা/এএম/পিআর