ক্যান্সারের কাছে হেরে গেল ছোট্ট জিহাদুল
মরণব্যাধি ক্যান্সারের কাছে হেরে গেল ছোট্ট জিহাদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শরীয়তপুরের স্বর্ণঘোষ গ্রামে নিজ বাড়িতে মারা গেছে সে।
জিহাদুলের বাবা ইয়াকুব বেপারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ৬ এপ্রিল ‘ছেলেকে বাঁচাতে সাংবাদিক বাবার আকুতি’ শিরনামে সংবাদ প্রকাশ করে জাগো নিউজ। সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্ন সংগঠন ও সাংবাদিকরা প্রায় সোয়া লাখ টাকা সহযোগিতা করেন জিহাদুলকে।
জিহাদুল ইসলাম শরীয়তপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের স্বর্ণঘোষ গ্রামের মো. ইয়াকুব বেপারি ও জান্নাতুন আক্তারের একমাত্র ছেলে। তার বাবা স্থানীয় দৈনিক হুংকার পত্রিকার সাংবাদিক।
জিহাদুলের বাবা ইয়াকুব বেপারি জানান, ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর হামের টিকা দেয়ার পর জিহাদুলের ডান পায়ের রান ফুলে যন্ত্রণা হতে থাকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নেয়া হলে তারা জিহাদুলকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে দেখানোর পরামর্শ দেন।
পরে জিহাদুলের বাবা ঢাকা শিশু হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ এবং পরে পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকদের দেখান। সেখানে জিহাদুলের রানে ক্যান্সার ধরা পড়ে। সর্বশেষ তাকে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে বায়োপসি করা হয়। কিন্তু বায়োপসি করানোর পর চিকিৎসকরা জানান রানে অপারেশন করলে ক্যান্সার পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়বে।
পরে বাংলাদেশের চিকিৎসকের পরামর্শে গত ১৩ জানুয়ারি জিহাদুলকে ভারতের ভেলর সিএমসি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার লেনি গ্রেইস ম্যাথিউ জিহাদুলের চিকিৎসা করেন। তিনি জানান, জিহাদুলকে চিকিৎসা করাতে হলে ভারতে ১৫ মাস থাকতে হবে। এতে খরচ হবে প্রায় ১০ লাখ রুপি। এতে ৬০ ভাগ ভালো হতে পারে। পরে টাকা না থাকায় শরীয়তপুরে নিয়ে আসা হয় তাকে।
দীর্ঘদিন বাড়িতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা চলে জিহাদুলের। পরে আজ বৃহস্পতিবার মারা যায় সে। শরীয়তপুর সদরের বড়াইল মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে বড়াইল গণকবরস্থানে দাফন করা হয়েছে জিহাদুলকে।
ছগির হোসেন/এফএ/পিআর