হিজাবের পিন আটকে গেল গলায়, অতঃপর...
অসাবধানতাবশত হিজাবের পিন শ্বাসনালীতে আটকে যায় এক কিশোরীর। তবে কোনো রকম কাটাছেঁড়া ছাড়াই সেটি বের করেছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান গলা বিভাগের চিকিৎসকরা।
ওই কিশোরীর নাম সুমনা বেগম (১১)। সে সিলেটের জকিগঞ্জের খাদিমান গ্রামের আব্দুর রবের মেয়ে।
বুধবার সকালে হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক নাক-কান-গলা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. নূরুল হুদা নাঈম জানান, মঙ্গলবার (২ জুলাই) ব্রঙ্কোসকপি দিয়ে প্রায় ২৫ মিনিটের চেষ্টায় পিনটি বের করে আনেন তারা।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নন্দ কিশোর সিনহার তত্ত্বাবধানে নাক-কান-গলা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. নূরুল হুদা নাঈম পিনটি বের করেন। এতে তাকে সহযোগিতা করেন নাক-কান-গলা বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল হাফিজ শাফী, ডা. হাসনাত আনোয়ার, ডা. মনজুরুল হাসান, ডা. তারেক ও ডা. আয়েশা সিদ্দিকা।
ওসমানী হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল হাফিজ শাফী জানান, মুখ থেকে শ্বাসনালির ভেতরে হিজাব পিন চলে যাওয়ায় গত ২৫ জুন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগে ভর্তি করা হয় সুমনাকে। সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন, সুমনার শ্বাসনালির ভেতরে পিন জাতীয় কিছু আটকে আছে। এরপর চিকিৎসকরা তার অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। পরে বিশেষ পদ্ধতিতে অপারেশন ছাড়া তার শ্বাসনালি থেকে পিনটি বের করে আনা হয়। বর্তমানে সুমনা পুরোপুরি সুস্থ আছে।
সুমনা জানায়, দাঁত দিয়ে পিন কামড়ে রেখে হিজাব পরছিলেন। এ সময় অসাবধানতাবশত পিনটি তার শ্বাসনালির ভেতরে চলে যায়। পরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সুমনার বাবা আব্দুর রব বলেন, মেয়েটিকে নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকরা আমাকে সেই চিন্তা থেকে উদ্ধার করেছেন। এ জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আজ-কালের মধ্যেই সুমনাকে ছাড়পত্র দিয়ে দিবেন। তার এখন আর কোনো সমস্যা নেই।
ছামির মাহমুদ/এফএ/জেআইএম