‘প্রভাবশালীর তালিকা পাইনি, চাকরি হবে যোগ্যতায়’
প্রতি বছরই পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে মোটা অঙ্কের অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই সংঘবদ্ধ দালাল চক্র সক্রিয় ওঠে। চাকরির জন্য পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা দিতে হয় দালাল চক্রকে। পাশাপাশি প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিরাও পুলিশ সুপারদের হাতে নিজেদের পছন্দের চাকরি প্রার্থীদের নাম-ঠিকানা সংবলিত তালিকা ধরিয়ে দেন।
তবে এবার পুলিশ সদর দফতর থেকে কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শতভাগ স্বচ্ছ করার জন্য কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও এবার কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রাখার কথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনোয়ার হোসেন খান।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার কাছে কোনো প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির তালিকা আসেনি। তালিকা এলেও সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না। শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রেখে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, যদি আমার সিনিয়র কোনো অফিসারও কারও জন্য আমাকে ফোন করেন তাহলেও আমি তাকে বলব আমার পক্ষে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। চাকরি প্রার্থী ও স্বজনরা যেন দালাল চক্রের সঙ্গে চাকরির জন্য কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন না করে সেজন্য আমরা মাইকিং করেছি। নানাভাবে তাদেরকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। তারপরও কোনো প্রার্থী যদি আর্থিক লেনদেন করেন এবং সেটি প্রমাণিত হয় তাহলে তার প্রার্থীতা বাতিল হয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আলাউদ্দিন চৌধুরী ও ডিআইও-১ মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আজিজুল সঞ্চয়/এমবিআর/পিআর