রোগীকে অচেতন করে ধর্ষণ করলেন পল্লী চিকিৎসক
বরিশালের উজিরপুরে চিকিৎসার নামে অচেতন করে প্রবাসীর স্ত্রীকে (৩২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের ফলে ওই নারী বর্তমানে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেছেন তার স্বজনরা।
অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক মিজানুর রহমান উপজেলার দক্ষিণ সাতলা গ্রামের আমজেদ মিঞার ছেলে। স্থানীয় নয়াকান্দি বাজারে জান্নাত মেডিকেল হল নামে তার একটি ফার্মেসি রয়েছে। সেখানে দীর্ঘদিন থেকে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিলেন তিনি।
ওই গৃহবধূর শাশুড়ি ও দেবর অভিযোগ করে বলেন, পল্লী চিকিৎসক মিজানুর রহমানের জান্নাত মেডিকেল হলে প্রায় ছয় মাস আগে চিকিৎসা নিতে যান ওই গৃহবধূ।ওই সময় ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে চার সন্তানের জনক লম্পট মিজানুর রহমান এবং মোবাইলে তার নগ্ন ভিডিও ধারণ করেন। এরপর ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ছয় মাস ধরে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে সাবেক এই সেনা সদস্য।
ধর্ষণের ফলে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী গৃহবধূ চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বিষয়টি গৃহবধূ লম্পট মিজানকে জানালে বেশ কয়েকবার গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করেন। অবশেষে ২৯ জুন গৃহবধূকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী গৈলা হাসপাতালে গর্ভপাত ঘটানোর জন্য ভর্তি করেন মিজান। কিন্তু ওই হাসপাতালে চিকিৎসক গর্ভপাত ঘটাতে অস্বীকৃতি জানালে সেখান থেকে দুজনই পালিয়ে যান। বর্তমানে গৃহবধূকে নিয়ে আত্মগোপনে মিজানুর রহমান।
গৃহবধূর শাশুড়ি ও দেবর বলেন, প্রথমে মিজানের ভয়ে ও লোকলজ্জায় মুখ খুলতে সাহস পাইনি। কিন্তু বিষয়টি এখন অনেক দূর গড়িয়েছে। এলাকায় দুর্নাম ছড়িয়েছে। প্রয়োজনে থানায় মামলা করব। আমরা লম্পট মিজানের বিচার চাই।
উজিরপুর মডেল থানা পুলিশের ওসি শিশির কুমার পাল জানান, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাইফ আমীন/এমবিআর/জেআইএম