প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, আটক ৩২ জন কারাগারে
কেন্দুয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে আটক ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পাবলিক পরীক্ষা অপরাধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কেন্দুয়া থানার এস আই আবুল বাশার বাদী হয়ে শনিবার কেন্দুয়া থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া, শনিবার বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, গত শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে কেন্দুয়া উপজেলার ছয়ানী গ্রামে ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান শামীমের বাড়ি থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায়। সেই সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ বেলা ১১টার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত ৩২ জনকে আটক করে। পুলিশ এ সময় তাদেরকে তল্লাশি চালিয়ে উন্নত প্রযুক্তির মোবাইল ডিভাইস, বিভিন্ন সেটের প্রশ্ন, ল্যাপটপ, প্রিন্টার জব্দ করে।
আটককৃতরা হচ্ছেন- আব্দুল মান্নান ছোটন, আজহারুল ইসলাম, আবুল বাশার, শহিদুজ্জামান ভূইয়া মিন্টু, বিকাশ দে, সাইফুল ইসলাম, সৈয়দ আবু সাঈদ, লুৎফর, শ্রী রাজন, লোকমান হোসেন, মো. জুয়েল, মো. সাকি, মজিবুর রহমান, নিলয় মাহমুদ, নাজমুল ইসলাম, বিলাস সরকার, চয়ন দত্ত, মো. শরীফ, শাহরিয়ার ইসলাম, হাওয়া বেগম, তুহিন আক্তার, মরিয়ম আক্তার, স্মৃতি, ডলি, রিপা, তাহমিনা, নিপা মোনালিসা, লাকী আক্তার, মনি আক্তার, তাসলিমা, নাজনীন সুলতানা ও মো. পিয়াস।
তিনি আরও জানান, আটককৃতদের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮ জন মহিলা শিক্ষক, ৫ জন পুরুষ শিক্ষক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষক ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ জন ছাত্র রয়েছে।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, আটককৃতরা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে মনিরুজ্জামান ভূইয়া শামীমের বাড়িতে বসে পরীক্ষা হলে প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে এই চক্রের ৩২ জনকে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া জানান, চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত এ কাজ করে আসছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী অভিযান অব্যাহত থাকবে। দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
কামাল হোসাইন/এমএমজেড/এমকেএইচ