পাওনাদারের মারধর, লজ্জায় জেলের আত্মহত্যা
ভোলায় পাওনাদারের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা সহ্য করতে না পেয়ে সোহাগ নামে এক জেলে আত্মহত্যা করেছেন।
সোহাগ ভোলার মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের মো. রফিক মাঝির ছেলে। শুক্রবার মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের জনতা বাজারের পূর্বপাশে ওয়াপদার একটি পরিত্যক্ত ভবনের পাশের আম গাছের সঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের বড় ভাই অহিদ ও শহীদ এবং স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া জানান, অনেক দিন ধরে নদীতে সোহাগ মাছ পাচ্ছেন না। এ কারণে আগের দেনা পরিশোধ করতে পারেনি সে। গত বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে নদীতে মাছ ধরার জন্য ঘর থেকে বের হয় সোহাগ। রাত ১১টার দিকে সে জনতা বাজারে একটি ভ্যানের ওপর ঘুমিয়ে পড়ে। ওই সময় শাহাবুদ্দিন দালাল সোহাগের কাছে এসে তার পাওয়া ২ হাজার টাকা চায়। সোহাগ এখন টাকা নেই, নদীতে মাছ পড়লে টাকা পরিশোধ করবে বললে শাহাবুদ্দিন তাকে অনেকের সামনে মারধর করে।
তারা আরও বলেন, একেতো নদীতে মাছ নেই, আবার পাওনাদারের চাপ। অন্যদিকে সবার সামনে মারধর সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে।
মনপুরা থানা পুলিশের ওসি মো. ফোরকার আলী রাতে জানান, শুক্রবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গের পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এমএএস/এমকেএইচ