স্কুলের মাঠে বাজার বসিয়ে দিল প্রভাবশালীরা
শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের একটি স্কুলের মাঠ দখল করে বাজার স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের ৫৯নং কুসুমহাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বাজার বসানোয় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বিঘ্ন ঘটাসহ স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
জানা গেছে, গত ২৪ জুন বিদ্যালয়ের মাঠে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণের চেষ্টা চালান স্থানীয় প্রভাবশালীরা। প্রধান শিক্ষকসহ ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ মাঠ থেকে বাজার অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত আবেদন দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুসুমহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে ৪৬ শতাংশ জমি রয়েছে। এ জমিতে একটি একাডেমিক পাকা ভবন, একটি সেমি পাকা ভবন ও একটি বড় মাঠ রয়েছে। পাকা ভবনে ২টি শ্রেণিকক্ষ এবং হাফ বিল্ডিংয়ে ৩টি শ্রেণিকক্ষসহ দুটি ভবনে ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে বাজার বসিয়ে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত করে আসছে। এখন মাঠটি দখলে নিতে দোকান নির্মাণের চেষ্টা চলছে। বিদ্যালয়ের মাঠে বাজার ও দোকান বসানোর কারণে পাঠদান ব্যাহত হওয়া ছাড়াও পতাকা উত্তোলনে শিক্ষার্থী সমাবেশ এবং টিফিনের সময় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছে না। এতে তাদের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আরও পড়ুন>> যে রেলপথের প্রতিটি স্লিপারে সাজানো মৃত্যুফাঁদ
কুসুমহাটী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বাজারে দোকানপাট উচ্ছেদের জন্য প্রধান শিক্ষক সুলতানা রাজিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বিদ্যালয়ের জমির পরিমাপ ও সীমানা নির্ধারণের জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির সামনের মাঠে অস্থায়ী কয়েকটি দোকান রয়েছে। বিদ্যালয় ঘেঁষে কিছু বালি ফেলে রাখা হয়েছে। এসব বালি দিয়ে দোকান নির্মাণ করার চেষ্টা চালানো হয় বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে লছমনপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও কুসুমহাটি বাজার কমিটির সভাপতি মো. সেলিম মিয়া সাংবাদিকদের জানান, স্কুল এবং বাজার দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। জায়গাটি আসলে পরিমাপ হওয়া দরকার। আমি চাই কুসুমহাটি বাজারের জায়গা বাজারকে বুঝিয়ে দেয়া হোক, আর স্কুলের জায়গা পরিমাপ করে স্কুলকে বুঝিয়ে দেয়া হোক। তাহলেই সমস্যা মিটে যাবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফিরোজ আল মামুন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ কারণে সহকারি কমিশনারকে (ভূমি) প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঝামেলা মিটে যাবে।
হাকিম বাবুল/এমএসএইচ/এমএস