ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চালুর নির্দেশ
ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের মেঘনা নদীর ইলিশা অংশে ভাঙনে ঘাট বিলীন এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া ফেরি ঈদের আগেই চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
মন্ত্রীর এমন নির্দেশের পরপরই বুধবার উচ্চ পর্যায়ের আট সদস্যের একটি টিম ভোলায় এসে সম্ভাব্য ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ঈদের আগে ইলিশা এলাকায় নতুন ঘাট নির্মাণ করা সম্ভব না হওয়ায় ভোলার ভেদুরিয়াঘাট থেকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরী ঘাটে ফেরি চলাচল চালু করে মালবাহী ট্রাক পারাপার করা হবে। আপাতত পরিস্থিতি সামাল দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান পরিদর্শনকারী টিম সদস্যরা।
পরিদর্শন কমিটিতে ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএর প্রধান প্রকৌশলী মাহিদুল ইসলাম, ওই দফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ কবির, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম, সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহীন সরকার, ভোলা সদর উপজেলার ইউএনও কাজী তোফায়েল হোসেন, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম-পরিচালক (নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালন) আবুল বাশার, ফেরির দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএর ম্যানেজার আবু আলম।
নতুন ফেরিঘাট নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে ভোলার ইলিশা মাদ্রাসা সড়ক হয়ে জোড়া খালঘাট, সিরাজ চেয়ারম্যানের বাড়ির উল্টো সড়কপথে, ভেদুরিয়া থেকে ইলিশা বেড়িবাধ হয়ে পুরাতন ঘাট, কাঠির মাথা ও ভোলার ভেদুরিয়া-বরিশাল লাহেরহাট রুটের ভেদুরিয়াঘাট ব্যবহার। টিমের আট সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা দিনভর ভোলায় এসে ওই সব পয়েন্ট এলাকা পরিদর্শন করেন।
ভোলা ফেরি বাস্তবায়ন ও স্বার্থ রক্ষা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সম্পাদক অমিতাভ অপু জানান, ইলিশা থেকে কাচিয়া এলাকার মধ্যে ফেরিঘাট নির্মিত হলে তা যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য ভালো হবে। ভেদুরিয়া ঘাট থেকে ফেরি চলাচলে অতিরিক্ত পাঁচ ঘণ্টা সময় বেশি লাগবে। গত জুলাই মাসের ২৫ তারিখ মেঘনা নদীর প্রবল ভাঙনে এ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে গেলে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়।
পরবর্তীতে এক কিলোমিটার সরিয়ে এনে নতুন ঘাট নির্মাণ করা হলেও ওই ঘাটও ২০ দিনের মাথায় ভেঙে নদীতে বিলীন হয়। ফলে ফের সাত দিন আগে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ পথটি দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের ১৬ জেলার সহজ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে গুরুত্ব বহন করছে।
অমিতাভ অপু/এআরএ/আরআইপি