ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে নির্যাতন

জেলা প্রতিনিধি | কিশোরগঞ্জ | প্রকাশিত: ১০:৩৮ এএম, ২৬ জুন ২০১৯

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে আবারও এক যুবককে চোখ ও হাত বেঁধে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অহিদুল ইসলাম নামে ওই যুবককে রাতভর পিটিয়ে সকালে পুলিশে দেয়া হয়। তবে পুলিশ তাকে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠায়।

নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনার ৯ দিন পর থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানায়, গত ১৫ জুন মাঝরাতে হোসেনপুর উপজেলার পুমদি ইউনিয়নের জগদল গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে অহিদুল ইসলাম অহিদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় পার্শ্ববর্তী গোবিন্দপুর ইউনিয়নের লাকুহাটি গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে পল্টু মিয়া। অহিদ সেখানে গেলে ওই এলাকার মানিক মিয়ার দাকানে চুরির অভিযোগ এনে পল্টুসহ ২০/২৫ জন তাকে চোখ ও দুই হাত বেঁধে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। রাতভর নির্যাতন করে পরদিন সকালে তাকে পুলিশে দেয়া হয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয়রা। স্বজনরা জানান, হোসেনপুর থানা পুলিশ আহত অহিদকে মাসখানেক আগে থানায় দায়ের হওয়া অন্য একটি মামলার সন্দেহভাজন আসামি দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠায়।

এদিকে ঘটনার ৯ দিন পর নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনায় অহিদের বাবা বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ২০/২৫ জনকে আসামি করে ২৫ জুন হোসেনপুর থানায় মামলা করেন। কিন্তু এর আগের দিন ২৪ জুন দোকান মালিক মানিক বাদী হয়ে অহিদের নামে একটি চুরির মামলা করেন।

Kisorganj

তবে পুলিশ বলছে নির্যাতনের বিষয়টি তাদের জানা ছিল না। অভিযোগ পাওয়ার পর থানায় মামলা নেয়া হয়েছে। এছাড়া আগের মামলার এজাহার না পাওয়ায় অন্য একটি মামলায় অহিদকে গ্রেফতার দেখানোর বিষয়টি স্বীকার করেছে হোসেনপুর থানা পুলিশ।

হোসেনপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ নূর ইসলাম বলেন, আগে নির্যাতনের বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল। ফেসবুকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে আমরা বিষয়টি জানতে পারি। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। এছাড়া অহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চুরির মামলা হওয়ায় ওই মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার মো. অহিদুল ইসলাম বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এর আগে গত ৬ জুন জেলার তাড়াইল উপজেলার দড়িজাহাঙ্গিরপুর এলাকায় চুরির অপবাদ দিয়ে মো. মোশারফ হোসেন নামে এক প্রতিবন্ধী কিশোরকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়।

নূর মোহাম্মদ/এফএ/জেআইএম

আরও পড়ুন