প্রেমিকাকে বিয়ে করে শাশুড়ির মামলায় কারাগারে প্রেমিক
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার খোরদো এলাকার স্কুলছাত্রী মিম অনেক আগেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন হাবিব সরদারের সঙ্গে। প্রেমের টানে রোববার সকালে বাড়ি ছেড়ে প্রেমিক হাবিবকে বিয়ে করেন মিম। তবে তাদের বিয়ে মানেননি মিমের মা। ঘটনাটি নিয়ে কলারোয়া থানায় অপহরণ মামলা করেছেন মিমের মা জোসনা আরা।
মামলা দায়ের করার পর রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা এলাকা থেকে প্রেমিক যুগলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে সোমবার দুপুরে প্রেমিক হাবিব সরদারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, প্রেমিক হাবিব সরদার (২৪) কলারোয়া উপজেলা সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের মাদরা গ্রামের আব্দুল মজিদ সরদারের ছেলে। প্রেমিকা মিম (১৫) উপজেলার খোরদো গ্রামের রাজমিস্ত্রি কামরুল ইসলামের মেয়ে ও খোরদো মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
থানায় মায়ের দায়ের করা অপহরণের অভিযোগ মিথ্যা জানিয়ে থানায় মিম বলেন, জোরপূর্বক ফুসলিয়ে নয়, স্বেচ্ছায় প্রেমিক হাবিবকে কাজী অফিসে নিয়ে স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে বিয়ে করেছি। কিন্তু মায়ের সম্মতি না থাকায় থানায় মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমাকে বিয়ে করায় হাবিবের কোনো দোষ নেই।
অপহরণ মামলায় গ্রেফতার হাবিবের বাবা আব্দুল মজিদ জানান, তার ছেলের সঙ্গে মিমের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রোববার সকালে মিম নিজ ইচ্ছায় কলারোয়া বাজারে গিয়ে হাবিবকে ফোন করে ডেকে নিয়ে বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। মেয়ের বয়স অল্প হওয়ায় হাবিব মিমকে বোঝানোর চেষ্টা করে। তখন মিম বলে, বিয়ে না করলে সে নিজের শরীরে আগুন দেবে। বাধ্য হয়ে সকলের অগোচরে তারা বিয়ে করে।
তিনি বলেন, এরপর দু’জন ঝাউডাঙ্গা এলাকায় এক আত্মীয় বাড়িতে অবস্থান করছিল। মিমের মা থানায় মিথ্যে অপহরণের অভিযোগ করলে পুলিশ দু’জনকে আটক করে। আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপহরণ মামলা দিয়েছে মেয়েটির মা।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস এ বিষয়ে জাগো নিউজকে বলেন, মেয়েটির সঙ্গে ছেলেটির প্রেমের সম্পর্ক। স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছে বলে মেয়েটি স্বীকারোক্তি দিচ্ছে। তবে যেহেতু তার বয়স এখনো ১৮ হয়নি তাই তার বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। এটা প্রেমের ফাঁদে ফেলে ফুসলানো বলে গণ্য হবে।
তিনি আরও বলেন, মেয়েটির মা জোসনা আরা বাদী হয়ে হাবিবের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দিয়েছেন। আমরা মেয়েটিকে উদ্ধার ও আসামি হাবিবকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছি।
আকরামুল ইসলাম/আরএস/এমকেএইচ