তরুণীকে বিক্রি, তরুণীর যাবজ্জীবন
মুন্সীগঞ্জে এক তরুণীকে ফুসলিয়ে নিয়ে বিক্রি করার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন ও আরও তিনজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তকে পাঁচ লাখ টাকা ও সাত বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ইয়াসমিন (২০) ও সাত বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শারমিন জেলার সিরাজদিখান উপজেলা কাজীরবাগ গ্রামের ফজল খানের মেয়ে। সাত বছর করে দণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কালাম ঢাকার ডেমরার মৃত মোসলেম মাস্টার ও জাকির হোসেন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার লক্ষণঘাটি গ্রামের আরব আলীর ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৫ মে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কাজীরবাগ গ্রামের জাহাঙ্গীর শেখের মেয়ে রিমু আক্তারকে (৩০) ফুসলিয়ে একই গ্রামের দুই বোন ইয়াসমিন ও শারমিন নারায়ণগঞ্জের কালামের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আবুল কালাম ও জাকির হোসেনের কাছে রিমু আক্তারকে বিক্রি করে দেয়া হয়।
ঘটনার পরদিন ১৬ মে তরুণীর বাবা জাহাঙ্গীর শেখ বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় মামলা করেন। একই দিন নারায়ণগঞ্জের জাকির হোসেনের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে রিমু আক্তারকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/এএম/জেআইএম