ট্রেন দুর্ঘটনা : গুরুতর অবস্থায় ওসমানী হাসপাতালে ৯
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ৯ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আশংকাজনক। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত অন্যদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল ও কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে।
গুরুতর অবস্থায় রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর শুনে ছুটে আসেন ওসমানী হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সিলেটের সিভল সার্জন হিমাংশু লাল রায়। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। আহতদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত। নার্স চিকিৎসক পর্যাপ্ত পরিমাণ আছেন।
তিনি বলেন, ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নয়জনের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশংকামুক্ত। বাকিদের অবস্থা গুরুতর। তাদের চিকিৎসা চলছে।
রোববার রাত ৩টার দিকে ৪৬-বিজিবি শ্রীমঙ্গলের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ জাহান আলীর নেতৃত্বে ৩০ জনের বিজিবি টিম ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতদের উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে বিজিবির সদস্যরা।
উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ৪৬-বিজিবি শ্রীমঙ্গলের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ জাহান আলী জাগো নিউজকে বলেন, আমরা দুর্ঘটনার খবর শুনে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতার জন্য ৩০-৪০ জনের একটি টিম উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছি। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে সিলেট ও মৌলভীবাজার দমকল বাহিনীর ১২টি ইউনিট উদ্ধারকাজে অংশ নেয়। তাদের সহযোগিতায় কাজ করছে রেলওয়ে ও পুলিশের একাধিক দল। ট্রেনের ছয়টি বগি নদীতে ছিটকে পড়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬ জনের লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজন নারী ও তিনজন পুরুষ। এ ঘটনায় আহত হয়েছে দুই শতাধিক যাত্রী।
রোববার রাত ১২টার দিকে কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশনের পাশে বনশাইল নামক স্থানে সেতু ভেঙে সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেসের ৪টি বগি ছিটকে পড়ে। লাইনচ্যুত হয় আরও কয়েকটি বগি। রাতে সিলেট স্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ওই ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উয়ারদৌস হাসান জানান, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করছে। ট্রেনের অন্য যাত্রীদেরও নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়ার কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে বিজিবি।
ছামির মাহমুদ/এমএসএইচ