রাঙ্গামাটির চার উপজেলায় লঞ্চ চলাচল শুরু
রাঙ্গামাটির ১০ উপজেলার মধ্যে ছয়টি উপজেলায় চলাচলের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে নৌপথ। কাপ্তাই হ্রদে পানি কম থাকায় দীর্ঘ আড়াই মাস এই নৌপথে যোগাযোগ বন্ধ ছিল। রোববার থেকে নৌপথে ফের লঞ্চ চলাচল চালু হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের ওপর নির্ভরশীল ছয় উপজেলার চারটিতে লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে যাত্রীদের মাঝে।
লংগদু উপজেলার যাত্রী সুভংকর চাকমা বলেন, বিভিন্ন কাজের জন্য উপজেলা সদরে আসতে হয়। নৌপথে আমাদের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হওয়ায় কাপ্তাই হ্রদে যখন পানি কম থাকে তখন ভীষণ দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
মাইনি বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের বলেন, হ্রদে পানি কম থাকলে আমাদের পণ্য আনা-নেয়ায় ভীষণ কষ্ট সহ্য করতে হয়। দু’দিন বৃষ্টি হওয়ায় হ্রদের পানি কিছুটা বেড়েছে। এতে আমরা এখন ছোট লঞ্চে করে উপজেলায় পণ্য পরিবহন করতে পারছি।
রাঙ্গামাটি নৌপরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মঈনুদ্দিন সেলিম বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে এবং উজানের দিকে ভারত অংশে বৃষ্টি হওয়ায় হ্রদের পানি কিছুটা বেড়েছে। তাই যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা ছোট লঞ্চগুলো ব্যবহার করে যাত্রী পরিবহন শুরু করেছি। আপাতত লংগদু উপজেলার মাইনী, বরকল উপজেলা সদর এবং নানিয়ারচর ও জুরাছড়ি উপজেলায় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কাপ্তাই হ্রদে এখন যে পানি আছে, তা নৌ চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত নয় । তবুও আমরা যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে লঞ্চ চলাচল আপাতত চালু করেছি। এখন যাত্রী কম হওয়ায় আমরা যাত্রীদের কাছ থেকে ২০ টাকা করে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছি। শিগগিরই লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হলে পুরোনো ভাড়া বহাল থাকবে।
সাইফুল/আরএআর/জেআইএম