ছোটভাইকে খুনের বর্ণনা দিলেন বড়ভাই
খাগড়াছড়ি জেলা শহরের খাগড়াপুর এলাকায় কলেজছাত্র প্রভাকর ত্রিপুরা রানার মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রভাকর ত্রিপুরার বড়ভাই চিরঞ্জিত ত্রিপুরাকে আটক করে পুলিশ।
আর্থিক ও পারিবারিক বিরোধ থেকেই চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বড়ভাই চিরঞ্জিত ত্রিপুরা বাড়িতে ডেকে আনে ছোটভাই প্রভাকর ত্রিপুরা রানাকে। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ছোটভাইকে।
পুলিশের হাতে আটকের পর এমনই তথ্য দিয়েছে বড়ভাই চিরঞ্জিত ত্রিপুরা। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে চিরঞ্জিত ত্রিপুরা।
এদিকে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ঘর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
চিরঞ্জিতের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মো. গোলাম আফছার জানান, ঘুমন্ত অবস্থায় হাতুড়ি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে তাকে খুন করে বড়ভাই। পরে বাড়ির পাশের সেফটিক ট্যাঙ্কির গর্তে মরদেহ ফেলে দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, দুই দিন নিখোঁজ থাকার পর বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের খাগড়াপুর এলাকায় নিহতের বড়ভাইয়ের বাসার পেছনে নির্মাণাধীন একটি সেপটিক ট্যাঙ্কির গর্ত থেকে প্রভাকর ত্রিপুরা রানার মরদেহ উদ্ধার পুলিশ।
প্রভাকর ত্রিপুরা রানা খাগড়াপুরের মৃত সুরেন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে এবং ঢাকার সরকারি বাঙলা কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এফএ/এমএস