তিনদিন ধরে অনশনে প্রেমিকা, পরিবারসহ উধাও প্রেমিক
টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিয়ের দাবিতে তিনদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন মৌসুমা নিশি নামে এক তরুণী। গত সোমবার (১৭ জুন) উপজেলার পাথারপুর গ্রামের মালদ্বীপ প্রবাসী প্রেমিক জসিম উদ্দিনের বাড়িতে ওঠেন ওই তরুণী। প্রেমিকা বাড়িতে ওঠার পর ঘরে তালা দিয়ে পালিয়েছেন প্রেমিকসহ পরিবারের লোকজন।
এর আগে জসিম উদ্দিন ওই তরুণীর হাত থেকে রক্ষা পেতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সখীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
থানার জিডি ও তরুণীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জসিম উদ্দিন দুই বছর আগে চাকরি নিয়ে মালদ্বীপ যান। ওই সময় রাজধানী ঢাকার এক তরুণীর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। এরপর থেকে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৫ মে জসিম উদ্দিন দেশে ফিরেই ওই তরুণীর ঢাকার ভাড়া বাসায় ওঠেন। ঈদের আগের দিন সখীপুরের বাড়িতে আসার পর জসিম আর ঢাকায় ফেরত না গিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। গত সোমবার জসিম সখীপুর থানায় জিডি করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই তরুণী জসিমের বাড়িতে ওঠেন।
তরুণী (মৌসুমা নিশি) বলেন, জসিম আগে একটি বিয়ে করে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে। অন্যদিকে আমিও আমার আগের স্বামীর ঘর ছাড়া। এ বিষয়টি আমাদের দুজনেরই জানা। মালদ্বীপ থেকে সে আমাকে ঢাকায় একটি বাসা ভাড়া নিতে বলে। দেশে এসেই সে আমার ভাড়া বাসায় ওঠে। ঈদের পর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ধুমধাম করে কাবিন ও বিয়ে হবে বলে আমাকে জানায়। আমরা ধর্মীয়গ্রন্থ ছুঁয়ে বিয়ে করেছি। হঠাৎ ঈদের আগের দিন জসিম আমাকে কোনো কিছু না বলেই পালিয়ে আসে ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি বাধ্য হয়েই আমার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বামীর বাড়িতে উঠেছি।
গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, জসিম ও বাড়ির লোকজন পালিয়ে যাওয়ার কারণে এ ঘটনার মীমাংসা হচ্ছে না। জসিমকে পেলেই এ বিষয়ে সমাধান করা হবে।
এদিকে জসীম উদ্দিন জিডিতে উল্লেখ করেন, ওই তরুণী বিয়ের দাবিতে বাড়িতে ওঠার আগে মুঠোফোনে হুমকি দেয় ও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে।
সখীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, মেয়েটিকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়াসহ বিয়ষটি মীমাংসায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যদি মেয়েটি মামলা করতে চায় তাহলে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
আরিফ উর রহমান টগর/আরএআর/জেআইএম