পিস্তল রেখে নামাজে গেলেন এসআই, এসে দেখেন পিস্তল নেই
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বানিয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এসআই) ১২টি গুলিসহ পিস্তল গায়েব হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
একই সঙ্গে এ ঘটনার পর দিঘলিয়া থানা পুলিশের এসআই নাজমুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহর নেতৃত্বে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে যায়। অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ ও র্যাব।
এসআই নাজমুল হক বলেন, বেলা আড়াইটার দিকে একটি ব্যাগের ভেতরে গুলিভর্তি পিস্তল রেখে নামাজ পড়তে যাই। নামাজ শেষে এসে দেখি আমার ব্যাগ থাকলেও পিস্তল ও গুলি নেই।
এ বিষয়ে খুলনার পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ বলেন, এসআই নাজমুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অস্ত্র ও গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনায় রাজমিস্ত্রির সহকারী বুলবুল খা ও বিদ্যালয়ের দফতরি সঞ্জীব কুমার রাহাকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে সেখানকার একটি ভোটকেন্দ্রে যান দিঘলিয়া থানা পুলিশের এসআই নাজমুল হক।
ডুমুরিয়া থানা পুলিশের ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, দিঘলিয়া থানা পুলিশের এসআই নাজমুল হক স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ডুমুরিয়া উপজেলার বানিয়াখালী এলাকায় দায়িত্ব করেন। বেলা ২টার দিকে বানিয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের একটি কক্ষে ব্যাগের মধ্যে ১২ রাউন্ড গুলিসহ পিস্তল রেখে নামাজ পড়তে যান। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে পিস্তল এবং গুলি পাননি। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ ও র্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ওই বিদ্যালয়ের দফতরিসহ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পাশাপাশি পুলিশের এসআই নাজমুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আলমগীর হান্নান/এএম/এমএস