কুকুর নিয়ে কাঠমিস্ত্রির মাথায় হাতুড়ির আঘাত
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় কুকুর নিয়ে বিরোধের জের ধরে শুকুমার মন্ডল (৫৫) নামে এক কাঠমিস্ত্রিকে মাথায় দা ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শরীয়তপুর পৌরসভার ঋষিপাড়া এসআইআইটি অফিস কক্ষে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এ সময় আহতের ছেলে চন্দন মন্ডল, ভাই গোপাল মন্ডল, ভাতিজা বিশ্বজিৎ মন্ডল, মিলন মন্ডল, কাকি মায়া রানী মন্ডল, মিলনী রানী মন্ডল ও প্রতিবেশী জামাল খান প্রমুখ উপস্থতি ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, উপজেলার পালং ইউনিয়নের পাটুনিগাঁও গ্রামের মৃত ক্ষেত্রমোহন মন্ডলের ছেলে শুকুমার মন্ডল (৫৫) ও প্রতিবেশী মৃত নিবারণ মন্ডলের ছেলে জয়দেব মন্ডলের সঙ্গে কুকুর পালা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন পর গত ১৩ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শরীয়তপুর পৌরসভার আটং এলাকায় পূর্বপরিকল্পনা করে কয়েকজন মিলে শুকুমার মন্ডলকে একা পেয়ে দা ও হাতুড়ি দিয়ে মাথায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শুকুমারের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন। ঢাকা মেডিকেল থেকে চিকিৎসকরা তাকে মহাখালীর আয়শা (পূর্ব নাম) হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তিনি আইসিইউতে ভর্তি আছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনায় শুকুমার মন্ডলের ভাতিজা বিশ্বজিৎ মন্ডল বাদী হয়ে গত ১৩ জুন বৃহস্পতিবার রাতে ৬ জনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পরের দিন শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে আসামি অনাথ মন্ডলকে আটক করে পুলিশ। রোববার অনাথ জামিনে চলে আসেন।
আহত শুকুমার মন্ডলের ছেলে চন্দন মন্ডলসহ অনেকেই জানান, পূর্বপরিকল্পনা করে শুকুমার মন্ডলকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় হাতুড়ি ও দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, আসামিরা বাড়ি থেকে পালিয়েছে। একজনকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ছগির হোসেন/এমএএস/এমকেএইচ