ছেলের মৃত্যুর স্থানে গিয়ে মৃত্যুশয্যায় বাবা
পদ্মার চরের গহীন কাশবনে দিক হারিয়ে নিখোঁজ হওয়া বৃদ্ধকে উদ্ধার করেছে তার স্বজনরা। নিখোঁজের দুদিন পর সোমবার দুপুরে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরের বিএস ডাঙ্গী (হেলিপ্যাড) গ্রামের বৃদ্ধ জলিল মুন্সিকে (৯৪) কাশবন থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
শনিবার সকালে বৃদ্ধ জলিল একা পদ্মা নদী পার হয়ে নিজের ফসলি জমিতে যাওয়ার সময় উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের চরশালেপুরের গহীন কাশবনের মধ্যে দিক হারিয়ে ফেলেন। সারাদিন ঘোরার পর সন্ধ্যা নেমে এলে বৃদ্ধ অচেতন অবস্থায় কাশবনের মধ্যে পড়ে থাকেন। এভাবে কেটে যায় দুদিন দুই রাত। অবশেষে গহীন কাশবনে তল্লাশি করে নিখোঁজের স্বজনরা বৃদ্ধকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি।
বৃদ্ধ জলিল মুন্সির ছেলে আব্দুর রশিদ মুন্সি বলেন, আমার বাবা নিখোঁজের পরের দিন রোববার থেকে আত্মীয়-স্বজন মিলে শালেপুর চরের গহীন কাশবনে তল্লাশি করতে থাকি। তল্লাশির একপর্যায়ে সোমবার দুপুরে কাশবনের মধ্যে মানুষের শব্দ কানে আসে। খোঁজ করে বাবাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তিনি বর্তমানে সুস্থ। পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে বাবার।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৃদ্ধ জলিল মুন্সি বলেন, দেড় বছর আগে একই কাশবনের মধ্যে আমার ছেলে হারুন মুন্সিকে (৫৫) সাপে কামড় দিয়ে মেরে ফেলেছে। খোদা রহমত দিয়ে আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, রাখে আল্লাহ, মারে কে?
চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জাহিদ হোসেন বলেন, প্রচণ্ড গরমে কাশবনের মধ্যে দুই রাত দুদিন অচেতন অবস্থায় থাকার ফলে বৃদ্ধ জলিলের শারীরিক অবস্থা দুর্বল হয়ে যায়। তার শরীরে পোকামাকড় কামড়ানোর কারণে ক্ষত হয়েছে। সুস্থ হতে সময় লাগবে।
বি কে সিকদার সজল/এএম/এমএস