টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতদের একজন ছাত্রলীগ নেতা
কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত তিন মাদক ব্যবসায়ীর একজন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির উপ-দফতর সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সৌরভ। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ির সদরের রূপনগর এলাকার মো. ইউনূছের ছেলে।
শনিবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হোয়াইক্যং-বাহারছড়া সড়কের পাহাড়ি ঢালা নামক এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধ হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. বদরুল্লা জানান, আমরা এ বিষয়ে শুনেছি। তবে এখনও নিশ্চত হতে পারিনি। রাশেদুল ইসলাম সৌরভের বাবা কান্নাকাটি করে টেকনাফের পথে রওনা দিয়েছেন বলে শুনেছি। সম্প্রতি নবগঠিত উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে সৌরভকে উপ-দফতর সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, সৌরভ দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারে থেকে পড়ালেখা করে আসছিলেন। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির উপ-দফতর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলেন, ইয়াবার চালান উদ্ধার করতে গেলে র্যাবের ওপর গুলিবর্ষণ করে মাদক ব্যবসায়ীরা। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থলেএসব মাদক ও অস্ত্রসহ তিনজনের মরদেহ পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার দিবাগত রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের রূপনগর এলাকার মো. ইউনূছের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (সৌরভ) (২২), কক্সবাজার পৌরসভার চৌধুরী পাড়ার গবি সোলতানের ছেলে দিল মোহাম্মদ (৪২), ও চট্টগ্রামের আমিরাবাদের মাস্টরহাট এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪২) র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়।
সৈকত দাশ/এমএসএইচ