প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছেড়ে কিশোরীর সর্বনাশ
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছাড়ে এক কিশোরী (১৭) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। সাতদিন হাওরে আটকে রেখে প্রেমিক ও তার বন্ধুরা মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে ওই কিশোরী বাদী হয়ে তার প্রেমিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
কেন্দুয়া উপজেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কল্যাণী হাসান বলেন, ওই কিশোরী কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সেই সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে দুজন পালিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে গত বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) দুপুরের দিকে প্রেমিকের হাত ধরে বাবার ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই কিশোরী। প্রেমিক তাকে নিয়ে বিয়ে না করে উল্টো নির্জন হাওরের মাঝখানে সেচ পাম্পের ঘরে আটকে রেখে বন্ধুরা মিলে টানা এক সপ্তাহ তাকে ধর্ষণ করে। পরে চেতনানাশক ওষুধ সেবন করিয়ে রাতের অন্ধকারে কেন্দুয়ার একটি সড়কে ওই কিশোরীকে ফেলে চলে যায় ধর্ষকরা। পথচারীরা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কল্যাণী ওই কিশোরীর চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার বহন করছেন বলেও জানান।
এদিকে ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় জানার পরও সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করেনি পুলিশ।
কেন্দুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান জানান, চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শাহ্জাহান মিয়া জানান, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
কামাল হোসাইন/আরএআর/এমকেএইচ