অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে বেঁধে নির্যাতন : পুলিশের এসআই প্রত্যাহার
শেরপুরে নকলায় এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলায় দায়ে নকলা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুককে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলামকে প্রধান করে জেলা পুলিশের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপারের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম এসআই ফারুককে প্রত্যাহার ও তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে নকলার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজকে প্রত্যাহারের গুঞ্জন ওঠলেও পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।
গত ১০ মে শেরপুরে নকলার কায়দা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ডলি খানম নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে গাছে বেঁধে বর্বরোচিত নির্যাতনের অভিযোগ ওঠেছে। এতে ওই গৃহবধূর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। নকলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করলেও কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার এক মাস পর গত ১১ জুন নির্মম নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
পরবর্তীতে পুলিশ সুপারের নির্দেশে গত ১২ জুন নকলা থানা পুলিশ ওই গৃহবধূকে বাদী করে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামি করে মামলা রেকর্ড করে। ওই মামলায় নাসিমা আক্তার (৪০) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ হেডকোার্টার্সের নির্দেশে ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।
হাকিম বাবুল/আরএআর/এমকেএইচ