বগুড়ায় পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনা নদীর দুর্গম চরে আসামি ধরতে গিয়ে হামলা শিকার হয়েছে পুলিশ। হামলায় চার পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
এ সময় হামলাকারীরা পুলিশের হাতে গ্রেফতার এক আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ আহত অবস্থায় হামলাকারীদের একজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
বুধবার রাতভর অভিযান চালিয়ে আরও ১৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং গ্রেফতার ব্যক্তিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
থানা পুলিশ জানায়, সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের যমুনা নদীর দুর্গম চর পাকেরদহ গুচ্ছগ্রামে সম্প্রতি একটি পুকুরে মাছ ছাড়াকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনা ঘটে। ওই সময় মারপিটের শিকার খৈমুদ্দিন বাদী হয়ে মঙ্গলবার সারিয়াকান্দি থানায় একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগটি তদন্ত করতে সারিয়াকান্দি থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিজানুর রহমান ও এএসআই নয়ন কুমার কয়েকজন পুলিশ কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার গুচ্ছগ্রামে যান। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত সৈয়দ জামান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন। তাকে নিয়ে থানায় রওনা দেয়ার পর পথিমধ্যে কটাপুর বাজারের কাছে সৈয়দ জামানের পক্ষের লোকজন পুলিশের ওপরে হামলা করে। হামলায় ওই দুই এএসআই ছাড়াও পুলিশ কনস্টেবল নজরুল ইসলাম ও মামুন মিয়া এবং হামলাকারীদের মধ্যে সানজাহার শেখ (৪০) আহত হয়।
কাজলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোশারফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ এলাকাবাসীর সহায়তায় আহত সানজাহারকে গ্রেফতার করে থানায় যায়। বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে ওই গ্রামের আরও ১৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সারিয়াকান্দি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আল আমিন বলেন, অভিযোগের তদন্তকালে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করলে বিবাদী পক্ষের লোকজন পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ নিজেদের উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং গ্রেফতার সানজাহারকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার ঘটনায় আহত এএসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি আল আমিন।
লিমন বাসার/এএম/এমকেএইচ